‘উত্তর পাড়ার কথা বলে প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের সম্মানহানি করেছেন’

Slider রাজনীতি

65019_sal

উত্তর পাড়ার কথা বলে প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের সম্মানহানি করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদ। সোমবার দুপুরে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন। বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী (রোববার) গতকাল উত্তরপাড়ার ক্ষমতা দখলের আশঙ্কা প্রকাশ করে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের সম্মানহানি করেছেন। প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে দখলকৃত অবৈধ ক্ষমতা হারানোর শঙ্কা ও আসন্ন নির্মম পরিণতির ভাবনার কথাই তাতে প্রকাশিত হয়েছে স্বাভাবিকভাবেই। এদেশের জনগণ জানে-আওয়ামী লীগের পক্ষে তিনি ১৯৮২ সালে সামরিক সরকারকে স্বাগতম জানিয়েছিলেন; ১৯৮৬ সালে এরশাদের স্বৈরশাসনকে বৈধতা দেয়ার জন্য সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে ৭ম সংশোধনীর মাধ্যমে এরশাদের স্বৈরশাসনকে বৈধতা দেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই ২০০৭ সালের মঈনুদ্দিন-ফখরুদ্দিনের ১/১১ এর মাধ্যমে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকে স্বাগত জানিয়ে বলেছিলেন-তাদের লগী-বৈঠার নরহত্যার আন্দোলনের ফসল ছিল সেই সরকার এবং তাদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে পুরোপুরি বৈধতা দেন। সেই মঈনুদ্দিন-ফখরুদ্দিনের সরকারের সকল কর্মকান্ডের বৈধতা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আওয়ামী লীগ ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হলো। বলা বাহুল্য, তিনি তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেননি বরং তাদেরকে পুরস্কৃত করে প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছেন। কোন সংবিধানই অপরিবর্তনযোগ্য নয়। জনগণের অভিপ্রায় অনুযায়ী সংবিধান সংশোধন বর্তমান সময়ের দাবি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি’র যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদ। সালাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, রাষ্ট্রীয় নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে সাংবিধানিক ক্ষমতার বাইরে গণশক্তির ক্ষমতার ধারণা এদেশের জনগণ ১৯৬৯, ৭১ এবং ৯০’ এ প্রমাণ করেছে। রাষ্ট্রীয় শ্বেতসন্ত্রাস ও গণহত্যার বিরুদ্ধে আজ গণশক্তির বহুমাত্রিক উত্থান হয়েছে;ে সই গণশক্তির প্রচন্ড সুনামীতে আওয়ামী লীগের অবৈধ ক্ষমতার মসনদ ভেসে যাবে অচিরেই। তিনি বলেন, ১৯৯৫-৯৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার দাবি মেনে নিয়ে আমরা সংবিধান সংশোধন করেছিলাম। সেই দাবিতে আওয়ামী লীগ আন্দোলন করে জামায়াত-জাতীয় পার্টিকে সঙ্গে নিয়ে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতা দখলের সুবিধার্থে সেই তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বাতিল করে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে এবং সংবিধানের এক তৃতীয়াংশ অপরিবর্তনযোগ্য করে ভবিষ্যত সংসদের ক্ষমতা হরণ করা হয়েছে, যা সরাসরি বেআইনী। অতএব সেই সংবিধানের দোহাই দিয়ে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত থাকাও বেআইনী। কোন সংবিধানই অপরিবর্তনযোগ্য নয়, জনগণের অভিপ্রায় অনুযায়ী সংবিধান সংশোধন বর্তমান সময়ের দাবি। সালাহ উদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, আমরা বলতে চাই-বিএনপি গণতন্ত্রে বিশ্বাসী, বহুদলীয় গণতন্ত্রের পুণ:প্রতিষ্ঠাকারী দেশের একটি নিয়মতান্ত্রিক সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দল। দেশ ও জাতির গর্ব সেনাবাহিনী তাদের সুনাম অক্ষুন্ন রেখে নিজেদের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করে আসছে। রাষ্ট্রের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব রক্ষার অতন্দ্র প্রহরী জাতীয় সেনাবাহিনীকে আমরা কখনোই বিতর্কে জড়াতে চাইনা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *