রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদ বলেছেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত ও পরামর্শের ভিত্তিতে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠন সম্ভব হবে এবং নতুন নির্বাচন কমিশন জাতীয় নির্বাচনসহ সকল নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে সম্পাদন করতে সক্ষম হবে।’
সোমবার বিকেলে বঙ্গভবনে জাতীয় সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির (জাপা) আট সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলের সাথে ঘণ্টাব্যাপী সংলাপের সময় তিনি এসব কথা বলেন।
রাষ্ট্রপতি জাপার সাথে আলোচনার মধ্য দিয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) পুনর্গঠন নিয়ে বহুল প্রত্যাশিত এই সংলাপ শুরু করেছেন।
সংলাপের ব্যাপারে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন বলেন, সোমবার বিকেল ৪টা ২০ মিনিটে বঙ্গভবনে জাতীয় পার্টির আট সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল রাষ্ট্রপতির সাথে ঘণ্টাব্যাপী সংলাপে যোগ দেয়।
প্রতিনিধি দলকে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, নির্বাচন কমিশন নির্বাচনী প্রক্রিয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান।
তিনি বলেন, ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের পাঁচ বছর মেয়াদ আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি শেষ হবে। তার আগেই একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনার এই উদ্যোগ।’
তিনি এ ব্যাপারে সকল রাজনৈতিক দল ও সুশীল সমাজের সহযোগিতা কামনা করেন।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য আলোচনার সময় তাদের তিন দফা প্রস্তাব রাষ্ট্রপতির কাছে তুলে ধরেন।
প্রতিনিধি দল সংবিধানের ১১৮(১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন প্রণয়নের প্রস্তাব করেন।
যদি এই সময়ের মধ্যে আইন প্রণয়ন সম্ভব না হয় তাহলে অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে আইন প্রণয়ন করা যেতে পারে।
যদি আইন প্রণয়ন ও অধ্যাদেশ জারি সম্ভব না হয় সেক্ষেত্রে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য একটি সার্চ কমিটির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠনের প্রস্তাব করে জাতীয় পার্টির প্রতিনিধি দল।
তারা রাষ্টপতির নির্বাচন কমিশন গঠনের উদ্যোগে সার্বিক সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস দেন।
প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা হলেন জ্যৈষ্ঠ কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, মহাসচিব মুজিবুল হক, কো-চেয়ারম্যান এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, কাজী ফিরোজ রশীদ, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, সালমা ইসলাম ও একাদশ জাতীয় সংসদের প্রধান বিরোধী দলের চিফ হুইপ ও দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য মশিউর রহমান রাঙ্গা।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের পাঁচ বছর মেয়াদ আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি শেষ হবে।
ইসির ওয়েবসাইট অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে নিবন্ধিত ৩৯টি রাজনৈতিক দল রয়েছে। কিন্তু জাতীয় সংসদে মাত্র ৯টি দলের প্রতিনিধিত্ব রয়েছে।
এ দলগুলো হলো বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ), বিকল্পধারা বাংলাদেশ, গণফোরাম, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন ও জাতীয় পার্টি (জেপি)।
সূত্র : ইউএনবি