নোবেল লরিয়েট প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসকে এ বছর জাতিসংঘ ফাউন্ডেশনের ‘চ্যাম্পিয়ন অব গ্লোবাল চেঞ্জ’ পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে। তার সঙ্গে এই পুরস্কার পেয়েছেন বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার মহাপরিচালক ড. এনগোজি ওকনজোরইওয়েইলা। ৯ই ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে এই পুরস্কার প্রদান করা হয়। জাতিসংঘের উপ-মহাসচিব আমিনা জে মোহামেদ পুরস্কার প্রদান করেন। ইউনূস সেন্টার থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলা হয়েছে- মানুষের মর্যাদা, সমতা ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় তার অসামান্য নেতৃত্ব ও উদ্ভাবনের স্বীকৃতিস্বরূপ প্রফেসর ইউনূসকে এই পুরস্কার দেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, পৃথিবীর সর্বত্র, সকলের জন্য একটি শান্তিপূর্ণ, ন্যায়ভিত্তিক ও টেকসই সমাজ গঠনে জাতিসংঘের লক্ষ্যসমূহ ত্বরান্বিত করতে উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এই পুরস্কার দেয়া হয়ে থাকে।
এই সম্মাননা প্রদান করা হয় নিউ ইয়র্কে অনুষ্ঠিত “উই দ্য পিপল্স” অনুষ্ঠানে, যার নামকরণ করা হয়েছে জাতিসংঘ সনদের অনুপ্রেরণাদায়ী উদ্বোধনী শব্দসমূহ থেকে এবং জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠাকারীদের সুগভীর রূপকল্পের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করতে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে যুদ্ধের অভিশাপ থেকে রক্ষা করতে, মানবাধিকার ও সমানাধিকারের প্রতি জাতিসংঘের আস্থা পুনর্ব্যক্ত করতে, ন্যায়বিচার ও আন্তর্জাতিক আইন নিশ্চিত করতে, এবং সামাজিক প্রগতি ও স্বাধীনতা ত্বরান্বিত করতে।
নোবেল লরিয়েট ও গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসকে এই পুরস্কার দেয়া হলো মানুষের মর্যাদা, সমতা ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় তার অসামান্য নেতৃত্ব ও উদ্ভাবনের স্বীকৃতিস্বরূপ।
জাতিসংঘের উপ-মহাসচিব আমিনা জে মোহামেদ আনুষ্ঠানিকভাবে এই পুরস্কার প্রদান করেন এবং অনুষ্ঠানেই প্রফেসর ইউনূসের একটি সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেন যার মূল বিষয়বস্তু ছিল প্রফেসর ইউনূসের “তিন শূন্য’র পৃথিবী” ও তা সৃষ্টির প্রচারাভিযান।
ইতিপূর্বে যারা “চ্যাম্পিয়ন অব গ্লোবাল চেঞ্জ” পুরস্কার পেয়েছেন তাদের মধ্যে রয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও বিল ক্লিনটন, জাতিসংঘ মহাসচিব কফি আনান ও বান কি-মুন, আর্চবিশপ ডেসমন্ড টুটু এবং শুভেচ্ছাদূত অ্যাঞ্জেলিনা জোলি প্রমুখ।।