প্রার্থী নিহতের ঘটনায় নির্বাচন স্থগিত, লাশ নিয়ে বিক্ষোভ

Slider ফুলজান বিবির বাংলা


পাবনা: পাবনায় নির্বাচনী সহিংসতায় এক চেয়ারম্যান প্রার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় সদর উপজেলার ভাড়ারা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান পদের নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন।

পাবনা জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, নির্বাচনকেন্দ্রিক ঘটনায় বৈধ প্রার্থী নিহত হলে নির্বাচন কমিশনের আইন অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট পদের নির্বাচন স্থগিতের বিধান রয়েছে।

পাবনা সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার কাওছার মোহাম্মদ বলেন, স্থানীয় সরকার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা ২০১০- এর বিধি ২০(১) (২) অনুযায়ী ভাড়ারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদের নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা দিয়ে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে নির্বাচন কমিশনকে অবহিত করা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, শনিবার সকালে ভাড়ারা ইউনিয়নের চারা বটতলার ইন্দারা মোড় কালুরপাড়া এলাকায় আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আবু সাঈদ খান ও তার লোকজন প্রচারণায় বের হন। এদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী ঘোড়া প্রতীকের সুলতান মাহমুদের লোকজনও বের হন। এ সময় আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী আনারস প্রতীকের ইয়াছিন আলম (ঘোড়া প্রতীক প্রার্থীর চাচাতো ভাই) জড়ো হলে তাদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এ সময় ইয়াছিন আলমসহ উভয় পক্ষের কমপক্ষে ২৫ জন আহত হন। তাদের পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কয়েকজনকে
আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাজশাহীতে স্থানান্তর করা হয়। তাদের মধ্যে আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ইয়াছিন আলম নাটোরের বনপাড়ায় পৌঁছানোর পর মারা যান।

এ বিষয়ে পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম বলেন, কোনো পক্ষ অভিযোগ না দিলেও পুলিশ ঘটনা তদন্তে করছে। অভিযোগ পাওয়া গেলে আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে শনিবার বিকেলে এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে, দোষী ব্যক্তিদের গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবিতে খণ্ড খণ্ড বিক্ষোভ করেন এলাকাবাসী। একপর্যায়ে তারা পাবনা শহরের আবদুল হামিদ সড়ক অবরোধ করেন। এ সময় ইয়াছিন আলমের লাশ পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়ার সময়ে তার লাশবাহী গাড়ি আটকে দেয়া হয়। ঘণ্টাব্যাপী বিক্ষোভের পর সন্ধ্যায় পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আশ্বাসে তারা সড়ক অবরোধ ছেড়ে দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। এই হত্যাকাণ্ডের পর এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে বলে জানা গেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *