জিম্বাবুয়েতে নারী বিশ্বকাপের বাছাই পর্ব খেলতে গিয়ে ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছেন বাংলাদেশের দুই নারী ক্রিকেটার রুমানা আহমেদ ও নাহিদা আক্তার। শুরুতে তাদের করোনা শনাক্ত হয়। পরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে দুই ক্রিকেটারই করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনে আক্রান্ত বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। বাংলাদেশে এই প্রথমবার ওমিক্রন শনাক্ত হলো। জিম্বাবুয়েতে শুরু হওয়া বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে ওমিক্রনের কারণে আকস্মিকভাবে বন্ধ হয়ে যায় খেলা। তবে সেই সুবাদে বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো পেয়ে যায় ওয়ানডে বিশ্বকাপের মূল পর্বের টিকিট। জিম্বাবুয়েতে করোনার প্রকোপ বেশি হওয়ায় ১ ডিসেম্বর দেশে ফিরে কোয়ারেন্টিন শুরু করেন বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা। এ সময় দফায় দফায় তাদের করোনা পরীক্ষা করানো হয়।
গত ৬ই ডিসেম্বর জানা যায়, দুই ক্রিকেটারের দেহে করোনার উপস্থিতি মিলেছে। তখনই ছিল তাদের ওমিক্রনে আক্রান্ত হওয়ার গুঞ্জন। অবশেষে তা সত্যি প্রমাণিত হয় জিনোম সিকোয়ান্সে পরীক্ষার মাধ্যমে। অন্যদিকে তাদের সর্বোচ্চ চিকিৎসার আশ্বাস দিয়েছেন বিসিবির নারী বিভাগের চেয়ারম্যান শফিউল আলম চৌধুরী নাদের। দৈনিক মানবজমিনকে তিনি বলেন, ‘যখন আমরা ওদের করোনা আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছি তখন থেকেই চিকিৎসা শুরু হয়েছে। এখন ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে। এটিরতো আর ভিন্ন কোনো চিকিৎসা নেই। দু’জনই কোয়ারেন্টিনে আছে একই রুমে। আমরা ওদের জন্য সর্বোচ্চ চিকিৎসা নিশ্চিত করেছি।’
অন্যদিকে ওমিক্রন আক্রান্ত দুই নারী ক্রিকেটার রুমানা ও নাহিদা শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ আছেন বলেই নিশ্চিত করেছেন শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল।
জিম্বাবুয়েতে ব্যাটে-বলে উজ্জ্বল নৈপুণ্য দেখান অলরাউন্ডার রুমানা আহমেদ ও বাঁহাতি স্পিনার নিগার সুলতানা। শক্তিধর পাকিস্তানের বিপক্ষে দারুণ জয়ে ব্যাট হাতে অর্ধশতক হাঁকান রুমানা। বল হাতে দুই উইকেট নেন নাহিদা। তার আগে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ম্যাচের সিরিজে বল হাতে নেন ১১ উইকেট। এতে আইসিসি’র নভেম্বর মাসের সেরা ক্রিকেটারের খেতাবে বাংলাদেশের প্রথম নারী ক্রিকেটার হিসেবে মনোনয়ন পান নাহিদা আক্তার।