ওমিক্রনের তাণ্ডবে গোটা বিশ্ব জুড়ে এখন তোলপাড়। এরইমধ্যে প্রতিবেশী দেশ ভারতে ২৫ জনের শরীরের ওমিক্রনের উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছে। শুক্রবার এক বিবৃতিতে এ বিষয়ে নিশ্চিত করেছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
ভারতে এখনো পর্যন্ত যে ক’জন রোগীর শরীরে ওমিক্রনের উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছে সবার উপসর্গ মৃদু। সাংবাদিকদের সাথে বৈঠকে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব লব আগরওয়াল বলেন,‘ভারতে যে ২৫ জন রোগীর শরীরে ওমিক্রন ধরা পড়েছে, তাদের কারও শরীরেই উপসর্গ গুরুতর নয়। অধিকাংশেরই উপসর্গ মৃদু।’
ভারতে প্রথম ওমিক্রন আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গিয়েছিল কর্নাটকে। সেখানে দুই ব্যক্তির শরীরে সংক্রমণ ধরা পড়ে। তাদের মধ্যে এক জন দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ফেরত এবং পরে তিনি দেশ ছেড়ে দুবাই চলে যান। দ্বিতীয় জন স্বাস্থ্যকর্মী, কিন্তু তিনি বিদেশে যাননি। কীভাবে তিনি আক্রান্ত হলেন, তা খতিয়ে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। এরপর গুজরাটের জামনগরে আরও এক জনের শরীরে ওমিক্রন পাওয়া যায়। মুম্বাইয়ে এক মেরিন ইঞ্জিনিয়ারের শরীরে করোনার উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছে। এর পর ধরা পড়ে দিল্লিতেও। আক্রান্ত ব্যক্তি তানজানিয়া থেকে দিল্লিতে ফিরেছিলেন। সম্প্রতি রাজস্থানে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আসা একই পরিবারের চার ব্যক্তির শরীরে পাওয়া গিয়েছে ওমিক্রন। শুক্রবার গুজরাটে আরও দু’জনের শরীরে ওমিক্রন ধরা পড়ে।
ওমিক্রন নিয়ে উদ্বেগ বাড়তেই সীমান্তে কড়াকড়ি জারি করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপের অনেক দেশ সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া শুরু করেছে।
গত ২৫ নভেম্বরের পর এখন পর্যন্ত ৫৯টি দেশে ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে।