দক্ষিণ আফ্রিকার ফ্যাফ ডু প্লেসিস, জেপি ডুমিনি, কুইন্টন ডি কক, ডেল স্টেইন ও অধিনায়ক এবি ডি ভিলিয়ার্স- সবাই ভারতীয় প্রিমিয়ার লীগে (আইপিএিল) খেলেন। এতে ভারত দলের অনেক খেলোয়াড়ের সঙ্গে তাদের দারুণ বন্ধুত্ব। তবে ভারতের সহ-অধিনায়ক বিরাট কোহলি ও দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার ডেল স্টেইনের মধ্যে বন্ধুত্ব একটু বেশিই। ২০০৭ থেকে ২০১০- তিন বছর কোহলির রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুতে খেলেছেন স্টেইন। তখনই তাদের মধ্যে দহরম-মহরম ভাব। তবে বিশ্বকাপে আজ তারা প্রতিপক্ষ। বর্তমানে ভারতের সেরা ব্যাটসমান যদি কোহলি হয়ে থাকেন তাহলে দক্ষিণ আফ্রিকার সেরা পেসার ডেল স্টেইন। বোলার বনাম ব্যাটসম্যানের লড়াইয়ে আজ দুই বন্ধুর লড়াই আলাদা আকর্ষণ সৃষ্টি করেছে। এর আগে দু’জন দুদেশের হয়ে মুখোমুখি হয়েছেন ১১ বার। এতে আপাতত কোহলিই এগিয়ে। এর মধ্যে কোহলিকে স্টেইন আউট করেছেন মাত্র দু’বার। তবে দু’বারই কোহলি ফিফটি করার পর আউট হন। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে পাকিস্তানের মোহাম্মদ হাফিজ ও অস্ট্রেলিয়ার ব্র্যাড হ্যাডিনকে সর্বোচ্চ পাঁচবার করে আউট করেছেন স্টেইন। তিনবার করে আউট করেছেন আরও তিনজন ব্যাটসম্যানকে। কোহলি-স্টেইনের বন্ধুত্ব এখনও অটুট। বন্ধুর বিপক্ষে মাঠে নামার আগে গতকালই কোহলি সেটা জানালেন। দক্ষিণ আফ্রিকার অনেক খেলোয়াড়ের সঙ্গে আমার বন্ধুত্ব। তবে ডেইল স্টেইনের সঙ্গে একটু ভিন্ন। স্পেশাল বন্ধুত্বই বলতে পারেন। রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুতে আমরা একসঙ্গে তিন বছর খেলেছি। তবে বন্ধুত্ব এখনও অটুট। যখনই তার সঙ্গে আমার দেখা হয় তখনই সে আমাকে বুকে টেনে নিয়েছে।’ বিশ্বকাপে আজ দু’জনের মুখোমুখি নিয়ে কোহলি বলেন, ‘মাঠে সে সম্পূর্ণ ভিন্ন এক মানুষ। খুবই আক্রমণাত্মক। যেটা একজন পেসারের জন্য খুবই জরুরি। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে সে দারুণ কিছু করতে চায়। খুবই শক্ত মানসিকতার অধিকারী। এ কারণেই সে এখন বিশ্বের এক নম্বর পেসার। আগামীকাল (আজ) মাঠে আমি তাকে পরাস্ত করতে চাইবো। সেও একইভাবে আমাকে পরাস্ত করতে চাইবে। তবে সব সময়ের মতো এবারও দু’জনের মধ্যে থাকবে সম্মানবোধ।’ ব্যাঙ্গালুরুতে বিরাট কোহলির বর্তমান সতীর্থ এবি ডি ভিলিয়ার্স। তিনি এ ম্যাচ নিয়ে বলেন, ‘এটা বিশ্বকাপ। এখানে দেশের হয়ে খেলা সম্পূর্ণ ভিন্ন ব্যাপার। প্রত্যেকেই দেশের হয়ে সেরা খেলা উপহার দেয়ার চেষ্টা করে। এখানে অন্য কোন বিষয় আসার সুযোগ নেই।