অতীতে বাংলাদেশে বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় সিডর, আইলা, মহাসেন, ফনিতে সমুদ্র উপকূলীয় বরগুনার পায়রা (বুড়িশ্বর), বিষখালী ও বলেশ্বর নদীর তীরবর্তী বসবাসকারী মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। সেই সাথে পশু,পাখিসহ গবাদি পশু ও ফসলের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতিও হয়েছে। এখন নুতন ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদে আবার উপকূলবাসীর আতঙ্ক বিরাজ করছে। ঝড়টি বাংলাদেশে আঘাত না করলেও এর প্রভাব ঠিকই পড়ছে।
রোববার রাতভর বিরামহীন বর্ষণ ও সোমবার এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ভারী বর্ষণে বরগুনা উপকূলের কৃষি ও ধান ক্ষেতে জলাবদ্ধতা হওয়ায় কৃষককূল চিন্তিত হয়ে পড়েছে।
এছাড়া গভীর সমুদ্রে থাকা শত শত মাছ ধরা ট্রলার নিরাপদে আসতে না পারায় হতাশায় পড়েছে ওই জেলে পরিবারগুলো।
Powered by
সমুদ্র উপকূলীয় বরগুনা, পাথরঘাটা, আমতলী, তালতলী, বামনা ও বেতাগীতে ভারী বর্ষণ ও দিনব্যাপী আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থেকে চারদিক অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে আছে । এতে উপকূলীয় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
কৃষককূল জানান,তাদের মাঠে এখন রোপণ করা পাকা আমন ধান। এ অবস্থায় ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বৃষ্টি হওয়ায় ধান গাছগুলো হেলে পড়ে অর্ধেক ধান নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
উপকূলীয় বেশ কয়েকটি সূত্র থেকে জানা গেছে, সাগরে প্রচণ্ড ঢেউ ও ঝড়ো হাওয়া বিরাজ করছে। শত শত মাছ ধরার ট্রলার গভীর সমুদ্রে অবস্থান করায় নিরাপদ আশ্রয়ে ফিরে আসতে পারেনি। এতে দুশ্চিন্তায় রয়েছে সমুদ্রে থাকা জেলে পরিবারগুলো।
এ বিষয়ে বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী নয়া দিগন্তকে বলেন, বহু ট্রলার এখনো গভীর সমুদ্রে অবস্থান করছে। কোনো ঘাটেই কোনো ট্রলার নেই। আবহাওয়া খারাপ হওয়ায় আমরা যাদের মুঠোফোনে পেয়েছি তাদেরকে নিরাপদ স্থানে আসতে বলেছি। এখন পর্যন্ত কোনো ট্রলার ঘাটে আসতে পারেনি। এতে করে জেলে পরিবারের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।