ব্রহ্মপুত্রের চরে সরিষাফুলের হলুদ গালিচা

Slider কৃষি, পরিবেশ ও প্রকৃতি


কিশোরগঞ্জ:কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে ব্রহ্মপুত্রের বিস্তীর্ণ চরাঞ্চলে সরিষার ব্যাপক আবাদ হয়েছে। ফলনও হয়েছে বাম্পার। চরাঞ্চলে শুধুই হলুদের সমারোহ। দূর থেকে দেখে মনে হবে যেন হলুদ গালিচা বিছানো । এ দিকে সরিষা ফুলের কদর বেড়ে যাওয়ায় ফুল বিক্রি করে বাড়তি উপার্জন করে লাভবান হচ্ছে অনেক কৃষক।

স্থানীয় কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে উপজেলার ছয়টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় এক হাজার ৪৫০ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ থাকলেও আবাদ হয়েছে অনেক বেশি। সরিষা ফুল বিক্রি করে অনেকেই লাভবান হওয়ায় কৃষকরা অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি সরিষা আবাদে ঝুঁকে পড়েছে। সরিষার ফুল দিয়ে গৃহিণীরা মজাদার পিঠা ও বড়া তৈরি করে মেহমানদারিতে বৈচিত্র্য এনে থাকে।

উপজেলার জিনারী ইউনিয়নের চরকাটিহারী গ্রামের জলিল মিয়া, সাহেবের চর গ্রামের ফরিদ উদ্দিন, আল আমিনসহ অনেকেই জানায়, গত বছর তারা শুধু সরিষার ফুল বিক্রি করে প্রত্যেকেই অর্ধ-লক্ষাধিক টাকা আয় করেছে। তারা আরো জানায়, সরিষা চাষে অন্যান্য ফসলের তুলনায় খরচ কম কিন্তু লাভের পরিমাণ বেশি। তাই এবার অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি সরিষার আবাদ করে শুধু ফুল বিক্রি করে অনেক রেশি লাভবান হয়েছে। এ সময় উপজেলার চর জামাইল গ্রামের কৃষক সাইফুল, নবী হোসেনসহ অনেকেই জানান, তারা এ বছর ১১ হাজার টাকার খরচ করে দুই বিঘা জমিতে সরিষা আবাদ করেছে। এ পর্যন্ত সরিষার ফুল বিক্রি করে পেয়েছে ৪০ হাজার টাকার বেশি।

এ ব্যাপারে উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ইমরুল কায়েস জানান, এ বছর অনুকূল আবহাওয়া ও কৃষি বিভাগের মাঠকর্মীদের তদারকি ও পরামর্শের কারণে কৃষকরা কম খরচে সরিষা আবাদ করে বাম্পার ফলন পেয়েছেন। সেই সাথে সরিষার ফুল বিক্রি করে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন। তাছাড়া পরিপক্ব সরিষা উৎপাদন করে আরো বেশি লাভবান হবেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *