মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বিজয় ও গৌরবের মাস ডিসেম্বর শুরু হলো আজ। প্রতিবছরের মতো এবারও নানা আয়োজনে বিজয়ের মাস উদযাপন করবে পুরো জাতি। এ জন্য মাসজুড়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।
৩০ লাখ শহীদ আর ২ লাখ মা-বোনের সম্ভ্রম হারানোর মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের অবিস্মরণীয় বিজয় আসে ১৬ ডিসেম্বর। স্বাধীন জাতি হিসেবে বিশ্বে আত্মপরিচয় লাভ করে বাঙালি। অর্জন করে স্বাধীন ভূখণ্ড, লাল-সবুজের পতাকা। ভাষার ভিত্তিতে যে জাতীয়তাবাদী চেতনা গড়ে উঠেছিল বায়ান্নতে, একাত্তরে তা পূর্ণতা লাভ করে। এই ডিসেম্বরেই রাজাকার, আলবদর ও আল শামসের সহযোগিতায় স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি দেশের বুদ্ধিজীবীদের হত্যাযজ্ঞে মেতে ওঠে। সমগ্র জাতিকে মেধাহীন করতে এ ধরনের ঘৃণ্য হত্যাযজ্ঞের দ্বিতীয় নজির বিশ্বে নেই।
১৬ ডিসেম্বর ঢাকার ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) পাকিস্তানি বাহিনী আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়। যেখান থেকে ৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ বলে স্বাধীনতার ডাক দেন। ১৯৭১ সালের ডিসেম্বর মাসের শুরু থেকেই মুক্তিযোদ্ধাদের গেরিলা আক্রমণ আর ভারতীয় মিত্রবাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত যৌথ বাহিনীর সাঁড়াশি অভিযানে পর্যুদস্ত হয় বর্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। চারদিক থেকে ভেসে আসতে থাকে তাদের পরাজয়ের খবর।
আজ ১ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষপূর্তি ও মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হবে। আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে প্রধান অতিথি হিসেবে বিজয়ের মাসের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য মো. আবদুল হামিদ।