ঢাকা: এত সংঘাত, এত সহিংসতাপূর্ণ নির্বাচন। তারপরও একে ‘মডেল’ নির্বাচন বলে আখ্যা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। রোববার অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচন একটি মডেল হতে পারে বলে মনে করেন ইসি সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার।
রোববার সন্ধ্যায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ইসি সচিব এ মন্তব্য করেন।
ইসি সচিব বলেন, কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৯ হাজার ৮৭৩ ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ২১ ভোটকেন্দ্রের ভোট গ্রহণ বন্ধ করা হয়েছে।
নির্বাচনে আহত বা নিহতের ঘটনা আছে কি না, জানতে চাইলে ইসি সচিব বলেন, বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ঘটেছে। তাঁদের কাছে যে তথ্য (তখন পর্যন্ত), তাতে ২৪ জন আহত হয়েছেন। কোনো নিহত হয়নি।
ভোটের মাঠে এদিন আবারও রক্ত ঝরেছে। সংঘাত, সহিংসতায় ঝরে গেছে আরও ছয়টি প্রাণ। মারামারি, সংঘর্ষ, গোলাগুলি, ভোটকেন্দ্র দখল, ব্যালট ছিনতাই, জাল ভোটের মধ্য দিয়ে শেষ হয় তৃতীয় ধাপের এই ইউপি নির্বাচন।
নির্বাচনী সহিংসতা ও সংঘর্ষে মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলায় দুজন, নরসিংদীর রায়পুরায় দুজন, লক্ষ্মীপুরে একজন, খুলনায় একজন ও নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে এক বিজিবি সদস্যসহ মোট সাতজন নিহত হয়েছেন। আর সংঘর্ষে দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রায় ১৫০ জন আহত হয়েছেন। কুমিল্লায় এক প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও পুলিশের এক এসআই ছুরিকাঘাতে জখম হয়েছেন।
ওই সাতজনসহ তৃতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সংঘাতে ১৬ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটল। দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে ৩০ জন এবং প্রথম ধাপে ৫ জন নিহত হয়েছিলেন। এ নিয়ে তিন ধাপের ভোটে মোট ৫১ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটল।
রোববার সারা দেশে ১ হাজার ৪টি ইউপিতে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। অবশ্য এবার অনেক জায়গায় উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটারদের ভোট দিতে দেখা গেছে। কোথাও কোথাও ভোটারদের দীর্ঘ সারি ছিল চোখে পড়ার মতো।