নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতায় ভোলায় মাঝ নদীতে গোলাগুলি, যুবলীগ নেতা নিহত

Slider ফুলজান বিবির বাংলা

ভোলা: ভোলায় নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতায় গুলিবিদ্ধ হয়ে খোরশেদ আলম টিটু (৩২) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। নিহত টিটু ধনিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং ওই ইউনিয়নের নাসিমাঝি এলাকার মুক্তিযোদ্ধা তছির আহমেদের ছেলে।

শুক্রবার সন্ধ্যায় মেঘনা নদীর চেয়ারম্যান বাজার-নাছিরমাঝি নৌপথের হেতনার হাট এলাকায় স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী জামাল উদ্দিন চকেট ও নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন নান্নু গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়।

নিহত টিটু সদর উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়ন ৪ নম্বর ওয়ার্ড পশ্চিম কাইনানগর গ্রমের মালেগো বাড়ীর মুক্তিযোদ্ধা তছির আহম্মেদর ছেলে। নিহত টিটু চেয়ারম্যান পক্ষের সমর্থক, সাবেক ছাত্রলীগ কর্মী ও বর্তমান সদর উপজেলা প্রজন্মলীগের কর্মী বলে জানা গেছে।

এ নিয়ে উভয় গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনায়েত হোসেন জানান, মাঝ নদীতে গুলিবিদ্ধ টিটুকে হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, ভোলার দৌলতখান উপজেলার মদনপুর ইউনিয়নের নবনির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যরা নিবার্চন পরবর্তীতে এই প্রথম তাদের কর্মীদের সাথে সৌজন্যে সাক্ষাতে যায়। কার্যক্রম সম্পন্ন করে সন্ধ্যায় ফেরার পথে মদনপুর থেকে ভোলা সদরের দিকে ট্রলারে করে যাওয়ার সময় মাঝ নদীতে তাদের ওপর এলোপাতাড়ি গুলি চালায় দুর্বৃত্তরা। এ সময় ট্রলারের থাকা মো: টিটু গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাকে উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ওই ট্রলারে নবনির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান এ কে এম নাছির উদ্দিন এবং মো: হেলাল, আবদুল খালেক, মো: ইউসুফসহ ওই ইউপির আট সদস্য নেতাকর্মীরা ছিলেন।

ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এ কে এম নাছির উদ্দিন জানান, দুপুরে তিনি ভোটার ও কর্মীদের সথে দেখা করতে ইউপি সদস্যদের নিয়ে মদনপুরে যান। সেখানে আসরের নামাজ পড়ে একটি যাত্রীবাহী ট্রলারে চড়ে ভোলা সদরের দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় মাঝ নদীতে দুর্বৃত্তদের একটি দল স্প্রিডবোট নিয়ে এসে ট্রলারের দিকে এলাপাতাড়ি গুলি চালায়। এ সময় আমাদের এক কর্মী গুলিবিদ্ধ হন। তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, ভোলার দৌলতখান উপজেলার মদনপুর ইউনিয় নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে ১১ নভেম্বর ইউপি নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো: জামাল উদ্দিনকে হারিয়ে তৃতীয়বারের মতো নাছির উদ্দিন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *