বিরামপুর (দিনাজপুর): চলমান ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সারা দেশে নৌকা প্রতীক দিয়ে দলীয়প্রার্থী নির্বাচন করলেও দিনাজপুর বিরামপুর উপজেলায় আসন্ন ৩য় দফা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৫নং বিনাইল ইউনিয়নের দলটি কোনো প্রার্থীকে নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন দেননি। এতে ওই ইউনিয়নটি নৌকামার্কা ছাড়াই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের দাবি স্বচ্ছপ্রার্থী না থাকা এবং আগের নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের বিরুদ্ধে কাজ করায় এবার তাদের নৌকার মনোনয়ন দেওয়া হয়নি।
উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এবার বিনাইল ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে তিনজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাদের মধ্যে বর্তমান চেয়ারম্যান মো. শহিদুল ইসলাম ঘোড়া মার্কা, সাবেক চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মো. হামিদুর রহমান চশমা মার্কা নিয়ে নির্বাচন করছেন। তারা দুজনই এবার নৌকা প্রতীক চেয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের কাছে আবেদন করেছিলেন। এ ছাড়া ইউনিয়নের নতুন মুখ হিসেবে মো. হুমায়ন কবির বাদশা (আনারস মার্কা) প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন। ইউনিয়নের মোট ভোটার সংখ্যা ১৬ হাজার ২৭২ জন। তাদের মধ্যে ৮ হাজার ১৮৮ জন পুরুষ এবং ৮ হাজার ৮৪ জন নারী রয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৫নং বিনাইল ইউপিতে আওয়ামীলীগ থেকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয় মো. আব্দুর রউফ মিন্টুকে। দলের শৃংঙ্খলা ভেঙে সেই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছিলেন মো. শহিদুল ইসলাম ও সাবেক চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মো. হামিদুর রহমান। এ ছাড়া বিএনপি প্রার্থী হিসেবে সাবেক চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম অবুল ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচনের অংশগ্রহণ করেন। সেই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মো. আব্দুর রউফ মিন্টুকে হারিয়ে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী শহিদুল ইসলাম জয়লাভ করেন।
এবার কেন নৌকা প্রতীক চাননি এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য ও সাবেক নৌকা মার্কার প্রার্থী আব্দুর রউফ মিন্টু বলেন, গতবার নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলাম। সেই সময় দলের দেওয়া প্রতীকের বিরুদ্ধে দুই জন কাজ করায় আমি হেরে গেছি। এবার প্রার্থীতা চাইলে আবারো সেই অবস্থা হবে। দলের মধ্যে বিভেদ বাড়বে।
বিরামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান খায়রুল আলম রাজু বলেন, এবার ওই ইউনিয়ন থেকে দুইজন নৌকা প্রতীকের জন্য উপজেলা আওয়ামী লীগের কাছে আবেদন করেছিলেন। তারা দুজনেই গতবারে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে কাজ করায় এবার তাদের নৌকা প্রতীকের জন্য কেন্দ্রের কাছে সুপারিশ করা সম্ভব হয়নি। এ কারণে এবার ইউনিয়নে দলীয় কোনো প্রার্থী দেওয়া সম্ভব হয়নি।
এদিকে, উপজেলায় ৭টি ইউনিয়নের মধ্যে ছয়টি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর রয়েছেন।