রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের সিসিইউতে চিকিৎসাধীন গুরুতর অসুস্থ সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার অবস্থা ক্রিটিকাল বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, ‘চিকিৎসকরা জোর দিয়ে বলছেন, এখানে (দেশে) কিন্তু তার (খালেদা জিয়া) চিকিৎসা সম্ভব নয়। বর্তমান জটিল অবস্থায় চিকিৎসা করতে হলে তাকে অবশ্যই অ্যাডভান্স সেন্টারে পাঠাতে হবে। সুনির্দিষ্টভাবে তারা দেশের নামও বলেছেন। ইউএসএ, ইউকে অথবা জার্মানি-এ তিনটা দেশের যেকোনা জায়গায় হতে হবে।’
মঙ্গলবার রাতে গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের ও পরিবারের পক্ষ থেকে সবার সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। তার চিকিৎসার ব্যাপারে বিদেশি চিকিৎসদের পরামর্শ নেয়া হচ্ছে। কোথাও কোনো ত্রুটি নেই।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘ম্যাডাম অত্যন্ত গুরুতরভাবে অসুস্থ। প্রথম থেকেই বলে এসেছি দেশনেত্রী জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে, এটাই অ্যাপ্রোপ্রিয়েট। তার অবস্থা এখনো স্টিল ক্রিটিকাল। তাকে বিদেশে অ্যাডভান্স সেন্টারে পাঠানো অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে, এটা চিকিৎসদের কথা।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে দেশনেত্রীর জীবন এতবেশি মূল্যবান সত্যিকার অর্থে গণতন্ত্র, দেশের উন্নয়ন, দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব, একটা স্থিতিশীল অবস্থা সৃষ্টি করতে উনাকে বিদেশে পাঠিয়ে চিকিৎসা করে সুস্থ করে নিয়ে আসা অত্যন্ত জরুরি বলে আমরা মনে করি। এ জন্য সরকারের কাছে আমি আবেদন জানিয়েছিলাম, রাজনৈতিক চিন্তাভাবনাকে নয়; দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জীবনকে প্রাধান্য দেয়ার জন্য।’
তিনি বলেন, ‘এভারকেয়ার হাসপাতালের চিকিৎসকরা প্রতিদিন বোর্ড মিটিং করেন, আড়াই ঘণ্টা পর্যন্ত বৈঠক করেন, আপ্রাণ চেষ্টা করছেন। আমি যতদূর জেনেছি গতকাল (সোমবার) যা ছিল তার চেয়ে ভালো কিছু সেটা না। কখনো একটু ভালো হয়, কখনো একটু খারাপ হয়-এ অবস্থার মধ্যে চলছে।’
তিনি বলেন, ‘আমার সঙ্গে তার দুই-একবার দেখা হয়েছে। তার মনোবল যথেষ্ট শক্ত। রোগীর মনোবল কিন্তু বড় সুস্থ হওয়ার জন্য, এটা অত্যন্ত জরুরি।’
এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এই মুহূর্তে রাষ্ট্রপতি বা প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাতের আমরা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেনি।’