বৃহস্পতিবার শুরু হচ্ছে সরকারি বেসরকারি বিদ্যালয়ে অনলাইনে ভর্তির আবেদন। আবেদন চলবে আগামী ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এ বছরও ভর্তির জন্য শিক্ষার্থী নির্বাচিত হবে লটারির মাধ্যমে। সূত্র জানায়, ভর্তির আবেদন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ১১০ টাকা। সরকারি স্কুলে ভর্তির লটারি হবে ১৫ ডিসেম্বর। আর বেসরকারি স্কুলের লটারি ১৯ ডিসেম্বর। ইতোমধ্যে সরকারি ও বেসরকারি স্কুলে ভর্তির নিয়ম ও আবেদন প্রক্রিয়া তুলে ধরে আলাদা আলাদা বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর (মাউশি)।
মাউশি জানায় করোনার কারণে এ বছর বিদ্যালয় থেকে কোনো ভর্তি ফরম বিতরণ করা হবে না। শুধু অনলাইনে (https://gsa.teletalk.com.bd) আবেদন করা যাবে। মাউশি আরো জানিয়েছে, ২০২২ শিক্ষাবর্ষে স্কুলে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি হতে শিক্ষার্থীর বয়স ৬ বছরের বেশি হতে হবে। জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ এর আলোকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় এ বয়স নির্ধারণ করা হয়েছে।
সরকারি স্কুলে ভর্তির আবেদন প্রক্রিয়া
সরকারি স্কুলে ভর্তির আবেদন নিয়ে অধিদফতরের জারি করা সংশোধিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঢাকা মহানগরীসহ সারাদেশের সব সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২০২২ শিক্ষাবর্ষে বিভিন্ন শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে বিদ্যালয় হতে কোনো ভর্তি ফরম বিতরণ করা হবে না। ভর্তির আবেদন ফরম শুধুমাত্র অনলাইনে (http://esa.teletalk.com.bd) পাওয়া যাবে। অনলাইনে আবেদন গ্রহণের প্রক্রিয়া ২৫ নভেম্বর সকাল ১১টা থেকে শুরু হয়ে ৮ ডিসেম্বর বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলবে। ২০২২ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির আবেদন ফি ১১০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে, যা শুধুমাত্র টেলিটক প্রি-পেইড মোবাইল থেকে এসএমএসের মাধ্যমে পরিশোধ করা যাবে।
এদিকে ঢাকা মহানগরীর ৪৪টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় (তিনটি ফিডার শাখাসহ) তিনটি ভিন্ন গ্রুপে বিভক্ত থাকবে। আবেদনের সময় একজন প্রার্থী একই গ্রুপে পছন্দের ক্রমানুসারে সর্বাধিক পাঁচটি বিদ্যালয় নির্বাচন করতে পারবে। এছাড়াও সারাদেশে আবেদনকারীরা আবেদনের সময় প্রতিষ্ঠান নির্বাচনের সময় থানা ভিত্তিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তালিকা পাবেন। এক্ষেত্রে প্রার্থীরা প্রাপ্যতার ভিত্তিতে প্রতিটি আবেদনে সর্বোচ্চ পাঁচটি বিদ্যালয় পছন্দের ক্রমানুসারে নির্বাচন করতে পারবে। ডাবল শিফটের প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে দুই শিফট পছন্দ করলে পছন্দক্রম সম্পন্ন হয়েছে বলে বিবেচিত হবে। একই পছন্দক্রমের বিদ্যালয় কিংবা শিফট দ্বিতীয় বার পছন্দ করা যাবে না।
সংশোধিত বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, ২০২২ শিক্ষাবর্ষে কেন্দ্রীয় পর্যায়ে অনুষ্ঠেয় ডিজিটাল লটারি কার্যক্রমে সারাদেশের সব সরকারি মাধ্যমিক স্কুলকে অংশগ্রহণ করতে হবে। তবে উপজেলা পর্যায়ের নতুন সরকারিকৃত যেসব সরকারি মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষক-কর্মচারীরা এখনও অ্যাডহক নিয়োগ পাননি সেসব স্কুল কর্তৃপক্ষ লটারিতে অংশগ্রহণ করতে না পারলে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গঠিত উপজেলা ভর্তি কমিটির মাধ্যমে লটারি প্রক্রিয়ায় শিক্ষার্থী নির্বাচন করে ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে ভর্তির কাজ সম্পন্ন করবেন। শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী নির্বাচন ছাড়া অন্য কোন পরীক্ষা গ্রহণ করা যাবে না। এছাড়া শিক্ষা মন্ত্রণায়ের নির্দেশনা মোতাবেক ২০২২ শিক্ষাবর্ষে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির জন্য জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ অনুযায়া শিক্ষার্থীর বয়স ছয় বছরের বেশি নির্ধারণ করা হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়েছে, সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষক বা কর্মচারীদের ভর্তির উপযুক্ত সন্তান সংখ্যার সমসংখ্যক আসন ঐ প্রতিষ্ঠানে সংরক্ষিত থাকবে। এক্ষেত্রে তাদের অনলাইনে আবেদন করার প্রয়োজন নেই। শিক্ষক বা কর্মচারী সরকারি মাধ্যমিক বালক বিদ্যালয়ে কর্মরত থাকলে এবং তার র্তি উপযুক্ত সন্তান বালিকা হলে পার্শ্ববর্তী সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ে আসন সংরক্ষিত রাখতে হবে। একইভাবে শিক্ষক-কর্মচারী সরকারি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে কর্মরত থাকলে এবং তার ভর্তি উপযুক্ত সন্তান বালক হলে পার্শ্ববর্তী সরকারি বালক বিদ্যালয়ে আসন সংরক্ষিত রাখতে হবে। অর্থাৎ সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষক বা শিক্ষিকাদের সন্তান ভর্তির যে ২ শতাংশ কোটা নীতিমালায় সংরক্ষিত ছিল তা তুলে দেয়া হয়েছে।
বেসরকারি স্কুলে ভর্তির আবেদন প্রক্রিয়া
বেসরকারি স্কুলে ভর্তির আবেদন নিয়ে অধিদফতরের জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঢাকা মহানগরীসহ সারাদেশের মহানগর পর্যায়ের বিভাগীয় সদরের মেট্রোপলিটন এলাকা ও জেলা সদরের সদর উপজেলার বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২০২২ শিক্ষাবর্ষে বিভিন্ন শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে বিদ্যালয় হতে কোনো ভর্তি ফরম বিতরণ করা হবে না। ভর্তির আবেদন ফরম শুধুমাত্র অনলাইনে (http://gsa.teletalk.com.bd) পাওয়া যাবে। অনলাইনে আবেদন গ্রহণের প্রক্রিয়া ২৫ নভেম্বর সকাল ১১টা থেকে শুরু হয়ে ৮ ডিসেম্বর বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলবে। ২০২২ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির আবেদন ফি ১১০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে, যা শুধুমাত্র টেলিটক প্রি-পেইড মোবাইল থেকে এসএমএসের মাধ্যমে প্রদান করা যাবে।
ঢাকা মহানগরীর বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান সংলগ্ন কমপক্ষে একটি এবং সর্বোচ্চ তিনটি প্রশাসনিক থানা ক্যাচমেন্ট এরিয়া হিসেবে নির্ধারণ করা যাবে। এছাড়াও আবেদনকারীরা আবেদনের সময় প্রতিষ্ঠান নির্বাচনকালে মহানগর পর্যায়ের জন্য বিভাগীয় সদরের মেট্রোপলিটন এলাকা এবং জেলা সদরের সদর উপজেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তালিকা পাবে। এক্ষেত্রে প্রার্থীগণ প্রাপ্যতার ভিত্তিতে প্রতিটি আবেদনে সর্বোচ্চ পাঁচটি বিদ্যালয় পছন্দের ক্রমানুসারে নির্বাচন করতে পারবে।
ডাবল শিফটের প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে উভয় শিফট পছন্দ করলে দুটি পছন্দক্রম সম্পন্ন হয়েছে বলে বিবেচিত হবে। একই পছন্দক্রমের বিদ্যালয় কিংবা শিফট দ্বিতীয়বার পছন্দ করা যাবে না। ২০২২ শিক্ষাবর্ষে কেন্দ্রীয় পর্যায়ে অনুষ্ঠেয় ডিজিটাল লটারি কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানের বাইরের প্রতিষ্ঠানগুলোকেও স্ব স্ব ভর্তি কমিটির মাধ্যমে লটারি প্রক্রিয়ায় শিক্ষার্থী নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে। শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে স্ব স্ব ভর্তি কমিটির উপস্থিতিতে লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী নির্বাচনপ্রক্রিয়া নিষ্পন্ন করা ব্যতিত অন্য কোনো পরীক্ষা গ্রহণ করা যাবে না।