ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে হতাহতের ঘটনায় নির্বাচনে কমিশনের উৎকণ্ঠার বিষয়টি আওয়ামী লীগ জানে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা। সোমবার রাজধানীর নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি।
নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মারামারির দায় ইসির ওপর এসেছে উল্লেখ করে এ বিষয় দলটিকে কোন বার্তায় দেওয়া হয়েছে কিনা, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, তাদের (আওয়ামী লীগের) সঙ্গে আলাদা বৈঠক করিনি। কিন্তু আমরা বার্তা দিয়েছি। তারা জানে আমাদের উৎকণ্ঠা আছে। তাদের বলা হয়েছে যেন বিষয়গুলো নিয়ন্ত্রণে রাখে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি নূরুল হুদা বলেন, দলীয় লোকজন বঞ্চিত থাকায় এ রকম হতে পারে। এ নিয়ে আমাদের নিজস্ব বিশ্লেষণ নেই। এটা আমরা করতেও পারি না।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে উল্লেখ করে সিইসি আরও বলেন, অস্ত্রের ব্যবহারের বিষয়টি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জানিয়েছি। কোনও একটি ঘটনা ঘটলে টিভিতে সেটা বারবার দেখানো হয়। এতে মানুষের ধারণা হয় সব জায়গায় বুঝি এমন ঘটছে।
আরেক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, আমাদের কাছে একটি মৃত্যুও স্বাভাবিক নয়। ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছি। কর্মকর্তাদের সঙ্গে মিটিং করেছি। যেসব বিভাগে বেশি নির্বাচন আছে, সেখানে গিয়ে মোটিভেট করার চেষ্টা করা হবে বলেও তিনি জানান।
এর আগে লিখিত বক্তব্যে নূরুল হুদা বলেন, নির্বাচনকে ঘিরে কয়েকটি স্থানে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। কোনোটাই প্রত্যাশিত নয়। বিশ্লেষণে দেখা গেছে, এসবের পেছনে ছিল আধিপত্য বিস্তার, বংশীয় প্রভাব ও ব্যক্তিগত শত্রুতা।
সিইসি আরও বলেন, দ্বিতীয় পর্যায়ে ৮৩৩টি ইউপি নির্বাচনে আট হাজার ৪৭২টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হয়। এরমধ্যে ১৬টি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ প্রিজাইডিং অফিসারের নিয়ন্ত্রণবহির্ভূত হওয়ায় বন্ধ করা হয়। তারপরও ভোটকেন্দ্রের বাইরে বিচ্ছিন্ন হানাহানি ও প্রাণহানি ঘটেছে, যা কাম্য নয়।