কুমিল্লা: কুমিল্লার মেঘনায় পৃথক নির্বাচনী সহিংসতায় দুইজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন। বৃহস্পতিবার উপজেলার মানিকারচর ইউনিয়নের আমিরাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বাহুরখলা ইউনিয়নের খিলারচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। মেম্বার প্রার্থী ও বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে এসব হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- উপজেলার বাহুরখলা ইউনিয়নের হিরার চর গ্রামের মৃত মুদাফর আলীর পুত্র সানাউল্লাহ ডালি (৬০) ও একই উপজেলার মানিকচর ইউনিয়নের বল্লবের কান্দি গ্রামের মোবারক হোসেনের পুত্র শাওন আহমেদ (২৫)। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মেঘনা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক সালাউদ্দিন মোল্লা। গুলিবিদ্ধ অন্যদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
স্থানীয়রা জানান, বেলা ১২টার দিকে একদল বহিরাগত হঠাৎ করেই আমিরাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করে। এ সময় বাধা দিলে তাদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
এ সময় পুলিশের গুলিতে জশ মিয়া, শাওন আহমেদ ও নাজমুল তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়।
স্থানীয়রা আরও জানান, মানিকারচর জামে মসজিদের ইমাম নাজমুল হাসান মসজিদের মাইকে ঘোষণা দেন যে, ভোটকেন্দ্রে বহিরাগতরা প্রবেশ করে ভোট দিচ্ছে। এ ঘোষণার পরই উত্তেজনা শুরু হয়। তারপরই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে ইমামকে আটক করা হয়। এদিকে উপজেলার বাহুরখলা ইউনয়নের খিলারচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোটকেন্দ্রে দুই মেম্বার প্রাথীর সংঘর্ষে সানাউল্লাহ আহত হয়। এ সময় মূমুর্ষ অবস্থায় ঢাকা নেয়ার পথে মারা যান।