জাতিসংঘের সংলাপের উদ্যোগকে স্বাগত জানালো ২০ দল

Slider রাজনীতি

64312_bb

বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক সঙ্কট থেকে উত্তরণে প্রধান দু’দলের দুই নেত্রীকে সংলাপে বসার আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুনের দেয়া চিঠিকে স্বাগত জানিয়েছে ২০ দল। আজ বিকালে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমেদ এ কথা বলেন। বিবৃতিতে তিনি বলেন, নির্দলীয় সরকার ব্যবস্থায় নির্বাচনের লক্ষ্যে জাতিসংঘসহ সকল পক্ষের অর্থবহ সংলাপের উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাই। সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষার নামে সম্পূর্ণ অসাংবিধানিক ও অগণতান্ত্রিক কায়দায় প্রহসনমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করে আওয়ামী লীগ এখন বাংলাদেশের স্বাধীনভূমি চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত নিতে চায়। স্বৈরতান্ত্রিক একদলীয় শাসনব্যবস্থা কায়েমের হাতিয়ার হিসাবে সাংবিধানিক ক্যু সংগঠিত করাই আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক ম্যানিফেস্টো। সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন,  সরকারকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই-গণতন্ত্র মু্িক্তর এই আন্দোলনে ভোটের অধিকার, মৌলিক ও মানবাধিকার আদায়সহ সকল ন্যায্য দাবি আদায়ের অপ্রতিরোধ্য গণজোয়ারকে স্তব্ধ করা যাবে না। গণমানুষের ন্যায্য আকাক্সক্ষাকে প্রতিহিংসার স্টিম রোলার দিয়ে কখনও দাবানো যায় না। সরকারি জুলুম-নির্যাতনের মাত্রা যত বাড়ছে দ্রোহের অগ্নি স্ফুলিঙ্গ তত দ্রুতগতিতে দাবানলে পরিণত হচ্ছে। আন্দোলনের চূড়ান্ত পর্যায়ে জনগণের স্বতঃস্ফুর্ত বিদ্রোহই সরকারের পতন ত্বরান্বিত করবে। বিএনপির এই যুগ্ম মহাসচিব বলেন, গত মঙ্গলবার রাতে যশোরের মনিরামপুরে পুলিশ ক্রসফায়ারে হত্যা করেছে বিএনপি কর্মী আবু সাঈদ ও বজলুর রহমানকে। সারা দেশে ২০ দলীয় জোটের অসংখ্য নেতা-কর্মীকে গুলি করে পঙ্গু বানানো হচ্ছে প্রতিদিন। গুম করে ফেলা হচ্ছে অসংখ্য নেতা-কর্মীকে। এ পর্যন্ত প্রায় ২০ হাজার নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমরা এসকল ঘৃণ্য হত্যাকাণ্ড, বন্দুকবাজি ও গ্রেপ্তারের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। ক্ষমতার পট পরিবর্তন হলে এসকল জঘন্য কর্মকাণ্ডের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের মানবতা বিরোধী অপরাধ আদালতে বিচার করা হবে।

তিনি বলেন, নির্দলীয় সরকারের অধীনে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন, দেশব্যাপী ক্রসফায়ারের মাধ্যমে অসংখ্য নেতাকর্মীকে হত্যা ও গুলি করে পঙ্গু ও আহত করার প্রতিবাদে ও সকল রাজবন্দির মুক্তির দাবিতে বিরোধী জোটের চলমান শান্তিপূর্ণ অবরোধকর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। ইতিমধ্যে সরকার গণদাবি মেনে না নিলে আমরা আবারও হরতালসহ কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো। তিনি বলেন,  সচেতন মহল আশঙ্কা প্রকাশ করছে- দেশে বিরোধী দলের বৈধ গণতান্ত্রিক ও নিয়মতান্ত্রিক পন্থায় রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার সকল পন্থা বন্ধ করে দেয়ার ফলে উগ্রপন্থা ও অগণতান্ত্রিক শক্তির উত্থান হতে পারে। আমরা অবৈধ শাসক শ্রেণীর প্রতি আবারও আহবান জানাই। প্রতিহিংসা ও বিদ্বেষমূলক রাজনৈতিক অপসংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে এসে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা রক্ষার পথে ফিরে আসুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *