নিউইয়র্ক সিটি কাউন্সিলে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশী- আমেরিকান শাহানা হানিফ। নিউইয়র্ক সিটিতে শাহানা হচ্ছেন প্রথম মুসলিম এবং বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত যিনি কাউন্সিল উইমেন হিসাবে নির্বাচিত হলেন। তাঁর এ বিজয়ের মধ্য দিয়ে নতুন ইতিহাস সৃষ্টির পাশাপাশি আমেরিকার মূল ধারার রাজনীতিতে বাংলাদেশীদের বিরাট সাফল্য হিসাবে বিবেচনা করা হচ্ছে। শাহানার এই ঐতিহাসিক বিজয়ে নিউইয়র্ক সহ উত্তর আমেরিকার বাংলাদেশী অভিবাসীরা উৎফুল্ল। ব্রুকলিনে বিজয় মঞ্চে বক্তৃতাকালে শাহানা তাঁর বিজয়কে ভক্ত সমর্থকদের বিজয় হিসাবে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, এই বিজয় আপনাদের সকলের। তিনি বাংলাদেশী আমেরিকান ভোটার সহ তাঁর সকল ভোটারের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা জানান। শাহানা বলেন, এই বিজয়ের মধ্য দিয়ে নারীর ক্ষমতায়ন আরো সুদৃঢ় হবে।
নারীরা সমাজের বিভিন্ন কাজে এগিয়ে আসতে উৎসাহিত হবেন। ভোট কেন্দ্র বন্ধ হওয়ার পরপরই শাহানার বিজয় সর্বত্র চাউর হয়ে যায়। প্রায় সঙ্গে সঙ্গে প্রায় ৯০ শতাংশ এলাকার ফলাফল চলে আসে। এতে তিনি ৯০ শতাংশ ভোটে বিজয়ের পথে এগিয়ে যান। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী ব্রেট ওয়াইনকপ মাত্র ৭ শতাংশ ভোট পাওয়ায় সংবাদ মাধ্যমগুলো রাত ১১টার পর শাহানাকে বিজয়ী হিসাবে ঘোষণা দেয়। চট্টগ্রামের সন্তান শাহানার পিতা মোহাম্মদ হানিফ চট্টগ্রাম সমিতির সাবেক সভাপতি ও ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা। তাদের দেশের বাড়ী নাজির হাটের পূর্ব ফরহাদাবাদ।
এদিকে, এবার মিশিগান রাজ্যের হ্যামট্রামিক সিটিতে দুইজন মুহিত মাহমুদ ও আবু মুসা আহমদ এবং সেন্টার লেইন সিটিতে দেওয়ান কাওসার কাউন্সিলর পদে লড়লেও বিজয়ের মুখ দেখতে পারেননি। মুহিত সামান্য ভোটের ব্যবধানে পরাজয় বরণ করেন। এরজন্য কমিউনিটি নেতৃবৃন্দের ব্যর্থতাকে দায়ী করছেন ভোটাররা। তবে এই সিটিতে প্রথম মুসলিম ও আরব বংশদ্ভূত ডা. আমির গালিব বিপুল ভোটে মেয়র নির্বাচিত হয়ে নতুন ইতিহাস গড়েছেন। এবার উত্তর আমেরিকার মুসলিম সিটি হিসাবে পরিচিত ডিয়ারবন সিটিতেও আবদুল্লাহ হামুদ নির্বাচিত হয়েছেন।