জাপানের রাজকন্যা মাকো ও তার নতুন স্বামী নিউ ইয়র্ক সিটিতে ভাড়া করা এক বেডরুমের অ্যাপার্টমেন্টে সরে আসার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সাধারণ মানুষ, কলেজ জীবনের বন্ধুকে বিয়ে করার জাপানের এই রাজকন্যা তার রাজকীয় পদবি ত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন।
ক্রাউন প্রিন্স ফুমিহিতো ও সম্রাট নারুহিতেরা ভাইয়ের মেয়ে ৩০ বছর বয়স্কা মাকো মঙ্গলবার সাদামাটা অনুষ্ঠানে কেই কোমুরোকে, ৩০, বিয়ে করেন। কয়েক বছর ধরে বিতর্কের পর তাদের বিয়েটি সম্পন্ন হলো।
বিয়ের আনুষ্ঠানিকতার পর নবদম্পতি টোকিওর একটি কন্ডোমিনিয়ামে ওঠেন। তবে তারা এখন স্থায়ীভাবে নিউ ইয়র্ক সিটিতে পাড়ি দিতে চলেছেন বলে জাপানি একটি মিডিয়া জানিয়েছে।
তবে এই দম্পতি ঠিক কোথায় বাড়ি ভাড়া করেছেন, তা জানা যায়নি।
গত জুলাই মাসে নিউ ইয়র্ক বার পরীক্ষা দেয়ার পর মাকোর স্বামী একটি আইন প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছেন।
জাপানি সূত্র জানায়, দম্পতি আনুষ্ঠানিক কোনো অনুষ্ঠান বা সংবর্ধনার আয়োজন করেনি, তারা ¯্রফে আইনি নথিপত্রের জন্য আবেদন জমা দিয়ে বিয়ে করার কাজটি সম্পন্ন করেছেন।
তবে তারা একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। এখানে মাকো বলেন, আমার জন্য কেই-স্যান হলেন অমূল্য ব্যক্তি। আমাদের হৃদয়কে উষ্ণ রাখার জন্য আমাদের বিয়ে করাটা দরকারি ছিল।
আর তার স্বামী বলেন, ‘আমি মাকোকে ভালোবাসি। আমি একাকী বাস করি। আমি এখন যাকে ভালোবাসি, তার সাথে বাস করতে চাই।
তিনি আরো বলেন, আমি আশা করি মাকো-স্যানের সাথে আমার একটি উষ্ণ পরিবার হবে। আমি তাকে সমর্থন দিকে সবকিছু করব।
এই দম্পতির প্রথম সাক্ষাত হয় টোকিওর ইন্টারন্যাশনাল ক্রিস্টিয়ান ইউনিভার্সিটিতে। সেখানে তারা ২০১৭ সালে তাদের এনগেজমেন্টের কথা ঘোষণা করেন। তারা পরের বছরই বিয়ে করার পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু কোমুরোর মায়ের আর্থিক কিছু জটিলতার কারণে বিয়েটি বিলম্বিত হয়।
মাকোর শাশুড়ি তার সাবেক বাগদত্তার কাছ থেকে কিছু অর্থ পেয়েছিলেন। কিন্তু এই অর্থ উপহার ছিল না ঋণ ছিল, তা নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়।
প্রাসাদের চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, তার সম্পর্ক নিয়ে মিডিয়ায় নেতিবাচক খবর প্রকাশিত হওয়ায় তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন।
সূত্র : নিউ ইয়র্ক পোস্ট