রাতুল মন্ডল নিজস্ব প্রতিবেদক: মধ্যে বয়সী বোরকা পড়া এক স্মার্ট নারী কালো বোরকা পড়া ফুটফুটে অজ্ঞাত নামা শিশু কুলে নিচে হাটাহাটি করছিলেন হাসপাতালের। হাসপালে আসা অপর নারী দেলোয়ারাকে ডেকে বলেলন আপনি আমার শিশু সন্তানটিকে একটু কুলে নিবেন? আমি ওয়াশরুমে যাবো। প্লিজ এজটু নেন। এভাবেই আনুমানিক অজ্ঞাত নামা চারমাস বয়সী একটি ছেলে শিশুকে ওয়াশরুমে যাবার কথা বলে দেলোয়ারা নামের এক নারীর কাছে রেখে উধাও হয়ে যায় মা নামের ঐ নারী। ঐ নারী কি শিশুর মা? নাকি অন্য কোন রহস্য এই শিশুটিকে ঘিরে, কি কারণে ফেলে চলে যায় এসকল কোন প্রশ্নের উত্তর পায়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
দেলোয়ার নামের ঐ নারীর বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল উপজেলার চরশ্রীরামপুর গ্রামে। তাঁর স্বামীর নাম মো. নূরুল ইসলাম। দেলোয়ারা বলেন, সকাল সাড়ে দশটার দিকে মেয়ে শরিফাকে নিয়ে ডাক্তার দেখাতে হাসপাতালে আসি। এর কিছুক্ষণ পর মধ্য বয়সী এক নারী বাথরুমে যাওয়ার কথা বলে ফুটফুটে শিশুটি তাঁর কুলে রেখে চলে যায়। চলে যাওয়ার ৩ঘন্টা অতিবাহিত হলেও ঐ নারী ফিরে আসেনি। এরপর হাসপাতালের আশপাশের এলাকা বিভিন্ন রুমে খোঁজে না পেয়ে হাসপাতাল কতৃপক্ষকে অবহিত করেন দেলোয়ারা। শিশুটির গায়ে সাদা রঙের সেন্টু গেঞ্জি ও সাদা রঙের প্যান্ট পরা অবস্থায় রয়েছে।
হাসপাতালের সিনিয়র নার্স নূরুনাহার বলেন, শিশুটি বর্তমানে হাসপাতালের হেফাজতে রয়েছে। শিশুটি অনেক কান্নাকাটি করছে। দীর্ঘ সময় ধরে বুকের দুধ না পেয়ে শিশুটি বেশি কান্নাকাটি করছে বলে তাঁর ধারনা।
শ্রীপুর উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ প্রনয় ভূষণ দাস বলেন, ছেলে শিশুটিকে হাসপাতালের একটি বেড রাখা হয়েছে। হাসপাতাল কতৃপক্ষের তত্বাবধানে শিশুটি বর্তমানে সুস্থ রয়েছে। তিনি আরও জানান, ইতিমধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে কথা হয়েছে। সমাজ সেবা কর্মকর্তার মাধ্যমে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।
শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, হাসপাতালে একটি শিশু সন্তান ফেলে যাওয়ার খবর শুনেছি। এবিষয়ে হাসপাতাল কতৃপক্ষকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।