আশঙ্কা বাড়িয়ে ফের হাজির করোনার আরও একটি নতুন প্রজাতি। AY 4.2-র ভেরিয়েন্টের সন্ধান মিলেছে ভারতের দক্ষিণের রাজ্য কর্ণাটকে। এখনো পর্যন্ত এই ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হয়েছেন ৭ জন। তবে এনিয়ে জনগণকে এখনই আতঙ্কিত হতে নিষেধ করছেন কর্ণাটকের স্বাস্থ্য কমিশনার ডি রণদীপ। তিনি জানান, ইতিমধ্যেই নতুন প্রজাতি সম্পর্কে বিশদে আলোচনা সেরেছে প্রযুক্তি উপদেষ্টা কমিটি। AY 4.2-তে আক্রান্তের সংখ্যা অনেক কম। নয়া প্রজাতির আগমনে এখনও দেশের কোথাও কনটেনমেন্ট জোন তৈরি করতে হয়নি। এবং নতুন প্রজাতি যে ভারতে তৃতীয় ঢেউ বয়ে এনেছে, এমন কোনও তথ্য এখনও পর্যন্ত নেই।
যদি এই AY 4.2 প্রজাতির আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ে, তাহলে সংক্রমণ প্রতিহত করতে জিনোমিক সিকোয়েন্সিং বাড়ানো হবে। সমস্তরকম ভাবে সুরক্ষা বলয় প্রস্তুত রাখা হয়েছে। বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের ৭২ ঘন্টা আগে করোনা টেস্ট করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। পরীক্ষার রিপোর্ট এয়ার সুবিধা নামে একটি পোর্টালে আপলোড করতে হবে। তা ছাড়া মানুষকে কোয়ারেন্টিনে রাখার মতো কোনো বিধিনিষেধ নেই। তবে পরিস্থিতি বিগড়ে গেলে প্রয়োগ করা হবে করোনার লকডাউন সম্পর্কিত গাইডলাইন, কনটেনমেন্ট জোন এবং টেস্ট।
বেঙ্গালুরুতে তিনজনের শরীরে নতুন প্রজাতির ভাইরাসের উপস্থিতি মিলেছে। তিনজনই সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়িতে ফিরে গেছেন। এরপর তাঁরা যাঁদের সংস্পর্শে এসেছিলেন সেই প্রাইমারি ও সেকেন্ডারি কনট্যাক্টসদের টেস্ট করানো হয়েছে। করোনার নতুন প্রজাতির থাবায় সবচেয়ে বেশি সংক্রামিত ইংল্যান্ডে রয়েছে। এরপরেই রাশিয়া ও ইসরায়েল। দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট খুব শক্তিশালী ছিল। তবে এখনই AY 4.2 প্রজাতি নিয়ে কোনও ভয় নেই। নতুন AY 4.2 নিয়ে ইতিমধ্যেই তদন্ত চলছে। আরও তদন্তের প্রয়োজন রয়েছে। তবে এখনই বলা যাচ্ছে না যে, এই নতুন AY 4.2 প্রজাতি ডেল্টার থেকে দ্রুত গতিতে সংক্রমণ ছড়ায় কি না।
সূত্র: ইকোনমিক টাইমস