সুদানে অন্তর্বর্তী সরকার বিলুপ্ত করে জরুরি অবস্থা জারি করেছে সেনাবাহিনী। এর আগে সোমবার খুব ভোরে তারা প্রধানমন্ত্রী আব্দাল্লাহ হামদুক ও তার কয়েকজন মন্ত্রীকে গ্রেপ্তার করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে গিয়েছে। তাদেরকে কোথায় রাখা হয়েছে বা কি ঘটেছে তাদের ভাগ্যে, তা এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত জানা যায়নি। এর মধ্য দিয়ে দৃশ্যত পরিস্থিতি বলছে, সামরিক অভ্যুত্থান ঘটে গেছে। আবারও ক্ষমতা কেড়ে নিয়েছে সামরিক উর্দি পরা ব্যক্তিরা। দৃশ্যত, এর নেতৃত্ব দিয়েছেন জেনারেল আব্দেল ফাত্তাহ আল বুরহান। সামরিক অভ্যুত্থানে সমর্থন না দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এমন ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে। দেশটিকে শাসন করে সোভারিন কাউন্সিল বা সার্বভৌম পরিষদ নামে একটি অন্তর্বর্তী প্রশাসন।
এর চেয়ারম্যান জেনারেল আব্দেল ফাত্তাহ আল বুরহান অন্তর্বর্তী সরকার, সোভারিন পরিষদ বিলুপ্ত ঘোষণা করেন। দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করেন। এর ফলশ্রুতিতে সেখানে কারফিউ দেয়ার কথা। জেনারেল আব্দেল ফাত্তাহ আল বুরহান টেলিভিশনে দেয়া বক্তব্যে বলেছেন, রাজনীতিকদের মধ্যকার দ্বন্দ্ব, উচ্চাকাঙ্খা এবং সহিংসতায় উস্কানি দেয়ার কারণে জনগণের স্বার্থ নিরাপদ রাখতে পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছেন তিনি। তিনি আরো বলেন, আন্তর্জাতিক চুক্তি মেনে চলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সুদান। ২০২৩ সালের জুলাইয়ে নির্বাচন দেয়ার পরিকল্পনা আছে। এরপরই বেসামরিক শাসকদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হবে।