ফোন নয় চিঠি এসেছে জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুনের তরফে। দু’নেত্রীকে লেখা চিঠিতে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে সংলাপের তাগিদ জানিয়েছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে লেখা চিঠিতে সঙ্কট নিরসনে জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব অস্কার ফার্নান্দেস তারানকোকে দায়িত্ব দেয়ার কথা উল্লেখ করে সহযোগিতাও চেয়েছেন তিনি। এর আগে খবর রটেছিল খালেদা-তারানকো ফোনালাপের। সূত্র জানায়, জাতিসংঘের তরফে ঢাকায় দু’পক্ষের সঙ্গেই যোগাযোগ হয়েছে। চলমান পরিস্থিতিতে জাতিসংঘ কাজ শুরু করেছে গত সপ্তাহে এমন ঘোষণা আসার পরই দু’নেত্রীকে এই চিঠি পাঠানো হলো। ঢাকায় বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জাতিসংঘ মহাসচিবের চিঠি প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করে
ওদিকে নিউইয়র্কস্থ আমাদের বিশেষ সংবাদদাতা জানিয়েছেন, বাংলাদেশে বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ও অব্যাহত সহিংসতায় প্রাণহাণিতে ফের উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। গতকাল জাতিসংঘ সদরদপ্তরে নিয়মিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে মহাসচিব বান কি মুনের এ উদ্বেগের কথা জানান ডেপুটি মুখপাত্র ফারহান হক।
বাংলাদেশে বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বেড়েই চলেছে। মানুষ নিদারুণ কষ্টে দিনযাপন করছে। এমন বাস্তবতায় জাতিসংঘের নেয়া উদ্যোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে ডেপুটি মুখপাত্র ফারহান হক বলেন, অব্যাহতভাবে মানুষের প্রাণহানি ও সহিংসতার ঘটনায় জাতিসংঘ মহাসচিব অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। বাংলাদেশে শান্তি ও স্থিতি প্রতিষ্ঠায় মহাসচিব ব্যক্তিগতভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। পরিস্থিতির শান্তিপূর্ণ সমাধানে মহাসচিব আশাবাদী বলে জানান ফারহান হক। সরকারি তরফে জাতিসংঘের সহকারি মহাসচিব অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকোর উদ্যোগকে স্বাগত না জানানো বিশেষ করে জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত চলমান রাজনৈতিক সমস্যাকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড আখ্যা দিয়ে এ বিষয়ে অসহযোগিতামূলক মনোভাব গ্রহণ বিষয়ে জাতিসংঘের অবস্থান জানতে চেয়ে এক বিদেশি সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে ডেপুটি মুখপাত্র বলেন, এ বিষয়ে তার কোন তথ্য জানা নেই। তবে সহকারি মহাসচিব তারানকো মহাসচিবের কর্তৃক অর্পিত দায়িত্ব অনুসারে কাজ শুরু করেছেন। এ মুহুর্তে তার বাংলাদেশ সফরের পরিকল্পনা না থাকলেও তারানকো সঙ্কট নিরসনে তার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। সরকার ও বিরোধী দলের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে সহকারি মহাসচিব তারানকো তার উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করছেন বলে জানান ডেপুটি মুখপাত্র ফারহান হক।
এর আগে, জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজাররিক ১২ই ফেব্রুয়ারি সংবাদ ব্রিফিংয়ে জানিয়েছিলেন, জাতিসংঘ মহাসচিব অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকোকে বাংলাদেশের বিষয়টি দেখাশোনার দায়িত্ব দিয়েছেন। তিনি বাংলাদেশ সরকার ও বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে লিয়াজোঁ করছেন বলেও জানান ডুজাররিক। নতুন দায়িত্ব পাওয়ার পর অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকো যুক্তরাষ্ট্রে দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিশা দেশাই বিসওয়ালের সঙ্গেও বৈঠক করেন। সেখানে বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে উভয়ের আলোচনা হয়েছে।
বাংলাদেশে বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বেড়েই চলেছে। মানুষ নিদারুণ কষ্টে দিনযাপন করছে। এমন বাস্তবতায় জাতিসংঘের নেয়া উদ্যোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে ডেপুটি মুখপাত্র ফারহান হক বলেন, অব্যাহতভাবে মানুষের প্রাণহানি ও সহিংসতার ঘটনায় জাতিসংঘ মহাসচিব অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। বাংলাদেশে শান্তি ও স্থিতি প্রতিষ্ঠায় মহাসচিব ব্যক্তিগতভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। পরিস্থিতির শান্তিপূর্ণ সমাধানে মহাসচিব আশাবাদী বলে জানান ফারহান হক। সরকারি তরফে জাতিসংঘের সহকারি মহাসচিব অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকোর উদ্যোগকে স্বাগত না জানানো বিশেষ করে জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত চলমান রাজনৈতিক সমস্যাকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড আখ্যা দিয়ে এ বিষয়ে অসহযোগিতামূলক মনোভাব গ্রহণ বিষয়ে জাতিসংঘের অবস্থান জানতে চেয়ে এক বিদেশি সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে ডেপুটি মুখপাত্র বলেন, এ বিষয়ে তার কোন তথ্য জানা নেই। তবে সহকারি মহাসচিব তারানকো মহাসচিবের কর্তৃক অর্পিত দায়িত্ব অনুসারে কাজ শুরু করেছেন। এ মুহুর্তে তার বাংলাদেশ সফরের পরিকল্পনা না থাকলেও তারানকো সঙ্কট নিরসনে তার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। সরকার ও বিরোধী দলের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে সহকারি মহাসচিব তারানকো তার উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করছেন বলে জানান ডেপুটি মুখপাত্র ফারহান হক।
এর আগে, জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজাররিক ১২ই ফেব্রুয়ারি সংবাদ ব্রিফিংয়ে জানিয়েছিলেন, জাতিসংঘ মহাসচিব অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকোকে বাংলাদেশের বিষয়টি দেখাশোনার দায়িত্ব দিয়েছেন। তিনি বাংলাদেশ সরকার ও বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে লিয়াজোঁ করছেন বলেও জানান ডুজাররিক। নতুন দায়িত্ব পাওয়ার পর অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকো যুক্তরাষ্ট্রে দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিশা দেশাই বিসওয়ালের সঙ্গেও বৈঠক করেন। সেখানে বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে উভয়ের আলোচনা হয়েছে।