বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা না করে তিলে তিলে তাকে হত্যা করাই সরকারের মূল লক্ষ্য বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। আজ শনিবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিলে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘চিকিৎসকরা বলছেন তার উন্নত চিকিৎসা দরকার। কিন্তু উনাকে উন্নত চিকিৎসা দেবে না এই সরকার । তিলে তিলে উনাকে মেরে ফেলাই হল সরকারের লক্ষ্য। সেই লক্ষ্যেই খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
দলের চেয়ারপারসন ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সম্পর্কে সরকারের মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্যের সমালোচনা করে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘যারা লম্বা লম্বা কথা বলে। যাদেরকে চিনতে গেলে সার্চ লাইট দিয়ে খুঁজতে হয়- এরা কারা? আসেন না সাহস করে, আমরা পাহারা দেব। আসেন আমাদের সঙ্গে একটু রাস্তায় হাঁটেন। দেখি কতজন আমাদেরকে ফুল দেয়, আপনাদের গায়ে থুতু দেয়-এটা দেখব। ওই সাহস তো আপনাদের হবে না। আপনারা ওই কাঁচের ঘরে বন্দী হয়ে লম্বা লম্বা কথা বলেছেন আর বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর অত্যাচার করছেন।’
কুমিল্লার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আজ এত বড় পুলিশ বাহিনী, আমাদের সময় ছিল ৫০ হাজার পুলিশ। আর এখন পাঁচ লাখ পুলিশ বাংলাদেশে। কাকে পেটানোর জন্য? যদি ডাকাত, ব্যাংক লুটেরা, চোর, খুনি ও পূজামণ্ডপে হামলাকারীদের ধরা না যায় যায় তাহলে এই পুলিশের কাজ কী? বিএনপি ঠেকানো? এটা বোধহয় বেশিদিন চলবে না। কারণ সবকিছু বিরুদ্ধে প্রতিরোধ আছে, প্রতিরোধ ব্যবস্থা কিন্তু নিজ থেকে গড়ে উঠে, গড়াতে হয় না।’
সরকারের উদ্দেশে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আমরা পরিষ্কার ভাষায় বলতে চাই, এই সমস্ত নোংরামি ছাড়েন। ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য আপনারা বহু পন্থা অবলম্বন করেছেন, বহু খুন করেছেন, বহু গুম করেছেন। আমাদের বিএনপি-যুবদল-স্বেচ্ছাসেবক দল-ছাত্র দলের নেতাকর্মীদের হয়রানির মাধ্যমে জেলখানা ভরে ফেলেছেন। কোর্টে আমাদের লোক ছাড়া কাউকে দেখা যায় না। দেশে কোনো বিচার ব্যবস্থা নেই। আছে শুধু পুলিশ, আছে শুধু কোর্ট- এটা দিয়ে আপনারা টিকে আছেন।’
বর্তমান অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে নেতাকর্মীদের সরকার হটাতে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান মির্জা আব্বাস। নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দোয়া মাহফিলের অনুষ্ঠানে উত্তর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি ফকরুল ইসলাম রবিনের সভাপতিত্ব ও সাধারণ সম্পাদক গাজী রেজওয়ানুল হোসেন রিয়াজ সঞ্চালনা করেন। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল, সাংগঠনিক সম্পাদক ইয়াসীন আলী, দক্ষিণের সভপতি এসএম জিলানী প্রমুখ বক্তব্য দেন।