ম্যাচের শুরুতে এগিয়ে যায় ভেনেজুয়েলা। একের পর এক আক্রমণ রুখে দিয়ে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ব্রাজিলকে প্রথম হারের স্বাদ দিতে যাচ্ছিল তারা। সেখান থেকে দ্বিতীয়ার্ধের মাঝামাঝিতে এসে ম্যাচ সমতায় ফেরান মারকুইনহোস। শেষের দিকে গাব্রিয়েল বারবোসা ও বদলি হিসেবে মাঠে নামা এনটনির গোলে বড় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
আজ শুক্রবার বাংলাদেশ সময় সকালে প্রতিপক্ষের মাঠ কারাকাসের অলিম্পিক স্টেডিয়ামে ৩-১ গোলের ব্যবধানে জিতেছে সেলেসাওরা। এ নিয়ে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের সবকয়টি ম্যাচেই জিতেছে কোচ তিতের শিষ্যরা। শুরুতে এরিক রামিরেজের গোলে পিছিয়ে পড়া ব্রাজিলকে সমতায় ফেরান মারকুইনহোস। এরপর বারবোসা ও এনটনির দারুণ গোলে জয় নিশ্চিত করে ব্রাজিল।
এ নিয়ে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ৯ ম্যাচের সবকয়টিতেই জিতেছে ব্রাজিল। ২৭ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষস্থানে তারা। সমান ম্যাচে ৫ জয় ও ৪ ড্রয়ে ১৯ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয়স্থানে আর্জেন্টিনা। এক ম্যাচ বেশি খেলা ভেনেজুয়েলা এক জয় ও এক ড্রয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তলানীতে অবস্থান করছে।
কার্ড নিষেধাজ্ঞায় এই ম্যাচে খেলতে পারেননি ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার নেইমার জুনিয়র। তার অবর্তমানে দলের আক্রমণের দায়িত্ব পড়ে গাব্রিয়েল জেসুস ও গাব্রিয়েল বারবোসার কাঁধে। কিন্তু ম্যাচের মাত্র ১১ মিনিটেই পিছিয়ে পড়ে সেলেসাওরা। স্বাগতিক ফরোয়ার্ড এরিক রামিরেজের হেডে এগিয়ে যায় ভেনেজুয়েলা। এই গোলে পিছিয়ে থেকেই প্রথমার্ধ শেষ করে ব্রাজিল।
এগিয়ে থেকে ম্যাচ শেষ করতে খেলার ধরন বদলে ফেলে ভেনেজুয়েলা। রক্ষণে শক্তি বাড়িয়ে ব্রাজিলকে রুখে দিতে চেষ্টা করে তারা। ম্যাচের এক তৃতীয়াংশ সময় গোল শোধ দিতে না পারায় হারের শঙ্কা জেগেছিল ব্রাজিল সমর্থকদের মনে। হয়তো তখন অনেকেই নেইমারকের খুঁজতেছিলেন। যদিও এই সময় দলের ত্রাতা হয়ে ফেরেন মারকুইনহোস। ৭১তম মিনিটে দারুণ এক হেডে দলকে সমতায় ফেরান পিএসজির এই ডিফেন্ডার।
সমতায় ফেরার পর আরও আক্রমণাত্ম হয়ে উঠে ব্রাজিল। কিছুটা ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বসে স্বাগতিকরা। ৮৫ মিনিটে ছোট ডি-বক্সের ভেতর ব্রাজিল পেনাল্টি উপহার দেয় স্বাগতিকরা। সেখান থেকে স্পট কিকে ব্যবধান বাড়ান বারবোসা। যোগ করা সময়ের পঞ্চম মিনিটে ম্যাচের শেষ গোলটি বদলি হয়ে নামা এনটনি।