মাদক মামলায় আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমনিকে দফায় দফায় রিমান্ডে পাঠানোর ঘটনায় নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন নিম্ন আদালতের দুই বিচারক। দুই বিচারক হলেন- ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের দেবব্রত বিশ্বাস ও আতিকুল ইসলাম। পরীমনিকে দফায় দফায় রিমান্ডে পাঠানোর বিষয়ে হাইকোর্ট ব্যাখ্যা চাইলে ওই দুই বিচারক লিখেছেন- এটি অনিচ্ছাকৃত ভুল। আজ সুপ্রিম কোর্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এদিকে হাইকোর্টের তলবে হাজির হয়েছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি হবে।
এর আগে গত ২রা সেপ্টেম্বর চিত্রনায়িকা পরীমনিকে দফায় দফায় রিমান্ড মঞ্জুরের ঘটনায় সংশ্লিষ্ট বিচারকদের কাছে ব্যাখ্যা চান হাইকোর্ট। পরিমণির মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে তলব করেন হাইকোর্ট। এছাড়া পরীমণির বিরুদ্ধে বনানী থানায় দায়ের করা মাদক মামলার সব নথি ও মামলার কেস ডকেটও তলব করা হয়েছে।
বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চ ওইদিন এ আদেশ দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জেড আই খান পান্না ও সৈয়দা নাসরিন।
গত ২৯ আগস্ট উচ্চ আদালতের রায় না মেনে মাদক মামলায় চিত্রনায়িকা পরীমণিকে বারবার নেওয়া রিমান্ড চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়।
আবেদনে পরীমণিকে রিমান্ডে নেওয়ার ক্ষেত্রে উচ্চ আদালতের রায় না মানার অভিযোগ আনা হয়। আইন ও সালিশ কেন্দ্রের পক্ষে অ্যাডভোকেট সৈয়দা নাসরিন এ আবেদন দায়ের করেন।
গত ১৯ আগস্ট রাজধানীর বনানী থানায় দায়ের করা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় পরীমণির তৃতীয় দফা রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। সিআইডির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত পরীমনির একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে পরীমণিকে প্রথম দফায় চার দিন ও দ্বিতীয় দফায় দুদিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিআইডি।
উল্লেখ্য, গত ৪ঠা আগস্ট পরীমনিকে বনানীর বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। তিনদফা রিমান্ড ও ১৯ দিন কারাভোগের পর গত ১লা সেপ্টেম্বর জামিনে মুক্তি পান তিনি।