মানিকগঞ্জ: মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার জামসা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান মিঠুর (৫০) বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও গর্ভপাত ঘটানোর অভিযোগে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন এক নারী। গত ৫ সেপ্টেম্বর মানিকগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে এ মামলা দায়ের করেন তিনি।
আজ রোববার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী মো. জাকির হোসেন। মামলাটি আমলে নিয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্তের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিঠু ওই নারীর (২১) পারিবারিক সমস্যাকে পুঁজি করে তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। ২০১৯ সালের ১ জুলাই চেয়ারম্যান পরিষদের একটি কক্ষে নিয়ে ওই নারীকে অনৈতিক প্রস্তাব দেয়। এতে ওই নারী রাজি না হলে ভুয়া বিয়ের ফাঁদে ফেলে দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন। ঢাকার দোহার উপজেলার মেঘুলা এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করেন তারা।
পরে ওই নারী অন্তঃসত্ত্বা হলে কৌশলে ওষুধ খাইয়ে গর্ভপাত করান চেয়ারম্যান। কিছুদিন পর ওই নারী জানতে পারেন, তাদের এ বিয়ের আইনগত কোনো বৈধতা নেই। পুনরায় বৈধ বিয়ের জন্য চেয়ারম্যানকে চাপ দিলে সে তাতে রাজি না হয়ে ২০২০ সালের ২৪ মার্চ ওই নারীকে ‘বিষ প্রয়োগের মাধ্যমে হত্যার চেষ্টা’ করেন। নিরুপায় হয়ে সেই নারী এলাকার বিভিন্ন লোকজন ও থানায় অভিযোগ দেন। কিন্তু কোনো প্রতিকার না পেয়ে অবশেষে গত ৫ সেপ্টেম্বর আদালতে মামলা দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে জামসা ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিঠু বলেন, ‘আমি ওই নারীকে বৈধভাবে বিয়ে করে তার সকল দায়িত্ব পালন করছি। নির্বাচনকে সামনে রেখে আমার প্রতিপক্ষ তাকে ব্যবহার করে আমার বিরুদ্ধে সাজানো মামলা দায়ের করেছে। যাতে আমি আগামী নির্বাচনে নৌকার মনোনয়ন না পাই।’