পরীমনি-সাকলায়েন কাণ্ড দুই সাক্ষীর খোঁজ মিলছে না

Slider ফুলজান বিবির বাংলা


চিত্রনায়িকা পরীমনির সঙ্গে গোয়েন্দা কর্মকর্তা গোলাম সাকলায়েন অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগে গোয়েন্দা গোয়েন্দা কার্যালয়ে গোলাম সাকলায়েনকে তার দায়িত্ব থেকে সরিয়ে নেয়ার পর গত ১১ই আগস্ট পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি মাসুদ করিমকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্য সদস্য ডিএমপির নারী সহায়তা ও তদন্ত বিভাগের উপ-কমিশনার হামিদা পারভীন এবং সিআইডির ফরেনসিক বিভাগের বিশেষ পুলিশ সুপার রুমানা আকতার। তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, তদন্ত কমিটিকে ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। সেই হিসাবে গত ২৬শে আগস্টের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার কথা ছিল।

সূত্র জানায়, তদন্ত সংশ্লিষ্ট দু’জন অন্যতম সাক্ষীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এটার সঙ্গে আরও কিছু জিনিস নতুন করে যুক্ত হয়েছে। ফলে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার সময় এমনিতেই বেড়েছিল। এছাড়া এখন নিখোঁজ সাক্ষীদের চিহ্নিত করার জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে।

ফলে নতুন করে সময় আবারো বেড়েছে। তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট সূত্র আরও জানায়, তদন্ত প্রায় শেষ পর্যায়ে। কিছু গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন না করতে পারায় তদন্ত প্রতিবেদন শেষ পর্যায়ে এসেও ঠেকে আছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গতকাল নতুন করে আরও ১৫ কর্মদিবস বৃদ্ধি করে তদন্ত কর্মকর্তাদের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, এটা একটি প্রাথমিক তদন্ত কার্যক্রম। একজন কর্মকর্তাকে শাস্তি দিতে গেলে যে কার্যপ্রণালী থাকে সেটার প্রথম ধাপ হচ্ছে এটা। এটার ওপর ভিত্তি করে কোনো শাস্তি নিশ্চিত করা হয় না। এটা দিয়ে তদন্ত শুরু হয় এবং দ্বিতীয় ধাপে আবার একটি কার্যপ্রণালী হয় সেখানে আরেকটি তদন্ত বোর্ড বা কমিটি থাকবে। সর্বশেষ পর্যায়ে মন্ত্রণালয় শাস্তি নিশ্চিতের বিষয়টি সম্পন্ন করে থাকে। এই তদন্ত কমিটির দেয়া প্রতিবেদনে যদি অভিযুক্তের সংশ্লিষ্টতা প্রমাণিত হয় সেক্ষেত্রে এখনই কোনো শাস্তি নিশ্চিত করা হবে না। বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে মূলত এই রিপোর্টের পরে আরও একাধিক ধাপে তদন্ত শেষে। এদিকে ঢাকা মহানগর পুলিশ গোয়েন্দা বিভাগে কর্মরত এডিসি গোলাম সাকলায়েনকে ডিবির সকল কার্যক্রম থেকে নিবৃত্ত করে পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট (পিওএম) পশ্চিম বিভাগে বদলি করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি সেখানে নিয়মিত অফিস করছেন। এ বিষয়ে তদন্ত কমিটির প্রধান পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি মাসুদ করিম মানবজমিনকে বলেন, আমাদের তদন্ত কার্যক্রম একদম শেষ পর্যায়ে। সাক্ষীসহ নতুন করে আরও কিছু জিনিস যুক্ত হওয়ায় তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। নতুন করে সময় বৃদ্ধির বিষয়ে তিনি বলেন, নতুন করে আরও ১৫ কর্মদিবস বৃদ্ধি করা হয়েছে। যদিও এই কর্মদিবস শেষ হওয়ার আগেই তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে পারবেন বলে জানান পুলিশের এই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *