স্কুল-কলেজ খোলার তারিখ ঘোষণা করা হলেও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি বিশ্ববিদ্যালয় খোলা নিয়ে। গত শুক্রবার শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সিন্ডিকেট এবং একাডেমিক কাউন্সিল চাইলে অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গেই উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠাগুলো খুলে দিতে পারে। শিক্ষামন্ত্রী এমন কথা বললেও বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেয়া যাচ্ছে না। কারণ সব বিশ্ববিদ্যালয়ের হল বন্ধ। আগে হল চালু করতে হবে। তারপর ক্যাম্পাস খুলতে হবে। হল চালু না করে শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে ফেরানো যাবে না। আগে বলা হয়েছিল সব আবাসিক শিক্ষার্থীকে টিকা দেয়ার পর হল খুলে দেয়া হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় খোলার বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, আমাদের মূল পরিকল্পনা হলো ১৫ই সেপ্টেম্বরের মধ্যে শিক্ষার্থীদের তথ্যগুলো নিয়ে তারপরে আমরা তারিখগুলো নির্ধারণ করবো যে কবে আবাসিক হল খুলবো, কবে ক্লাস কার্যক্রম শুরু হতে পারে। তারপরে একটা পূর্ণাঙ্গ সময় দেয়া যাবে। আমাদের যে পূর্বের রোডম্যাপ ছিল সে পরিকল্পনা মোতাবেক আমরা অগ্রসর হচ্ছি।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. শিরীন আখতার বলেন, আমরা চাইছি বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দিতে। হঠাৎ করেই তো খুলতে পারবো না। আমাদের হল খুলতে হবে, শিক্ষার্থীদের টিকাগুলো নিশ্চিত করতে হবে। এ পর্যায়গুলো আগে পেরিয়ে আসতে হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) সদস্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আলমগীর বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খোলার সক্ষমতা নিজেদের বিবেচনা করতে হবে। এরপর তারাই সিদ্ধান্ত নেবে সঠিক পরিবেশে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার।