লালমাই উদ্ভিদ উদ্যানে সংরক্ষণ করা হচ্ছে দুষ্প্রাপ্য স্বর্ণ কুমুদ

Slider কৃষি, পরিবেশ ও প্রকৃতি


স্বর্ণ কুমুদ। নাম পড়ে মনে হতে পারে এতে স্বর্ণ আছে কিনা? স্বর্ণের মতো মূল্যবান না হলেও বেশ দুষ্প্রাপ্য এই গাছ। আগে এদেশেও উন্মুক্ত পরিবেশে টিকে ছিলো। লোকালয় বাড়ানোর জন্য ডোবা, খাল বিল ভরাট হয়ে যাওয়ায় এখন তেমন পাওয়া যায় না এই ফুল।

কুমিল্লায় স্বর্ণ কুমুদ গাছ প্রাকৃতিকভাবে তেমন জন্মে না। কুমিল্লা গাডেনার্স সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা ডা. আবু নাঈম তিন বছর আগে নারায়ণগঞ্জ থেকে একটি চারা সংগ্রহ করেন। সে গাছ থেকেই চারা বাড়িয়ে একটি গাছ লালমাই উদ্ভিদ উদ্যানে দিয়েছেন।

ডা. আবু নাঈম বাসসকে বলেন, গাছটি বিলুপ্তির হাত থেকে বাঁচাতেই এই প্রয়াস। ফুল থেকে সামান্য ব্র্যান্ডির ঘ্রাণ আসে বলে এটাকে Brandy bottle lily নামেও ডাকা হয় একে Yellow water lily নামেও পরিচিত। সাইন্টিফিক নাম Nuphar lutea.

গাছের পাতা সবুজ। লতানো কাষ্ঠল কাণ্ডের মতো হয় গাছটি। কাণ্ডসমেত মূল গাছ পানির নিচেই থাকে। পাতা এবং ফুল ভেসে থাকে উপরে। গাছটি অগভীর পরিষ্কার পানি পছন্দ করে।

কুমিল্লা সামাজিক বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা মুহাম্মদ নুরুল করিম বাসসকে বলেন, বিলুপ্ত প্রায় স্বর্ণ কুমুদ ফুল লালমাই উদ্ভিদ উদ্যানে সংরক্ষণ করা হয়েছে।

এছাড়া ডা. আবু নাঈম শিউলি বাগান করার জন্য ১৫টি শিউলি চারা ও কিছু বিদেশি ফুল আফ্রিকান প্রিন্সেস, বাসর লতা, জল গোলাপ, মেক্সিকান ফ্লেম ভাইনসহ মোট ১৬ প্রজাতির গাছের চারা লালমাই উদ্ভিদ উদ্যানে রয়েছে।

সূত্র : বাসস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *