সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে দেয়া বক্তব্যে বোট ক্লাব, পরীমনির রিমান্ডসহ তিনটি বিষয় জানতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করেছেন বিএনপি দলীয় এমপি হারনুর রশীদ। শুক্রবার সংসদ অধিবেশনে হারুনুর রশীদ বলেন, দেশে মাদকের ব্যাপক বিস্তার ঘটেছে। ঢাকাসহ বিভিন্ন অভিজাত এলাকায় হাউস পার্টি, ডিজে পার্টির নামে মাদকের ব্যাপক বিস্তার ঘটেছে, তারা আশা করেন এর বিরুদ্ধে সরকার কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। তিনি বলেন, আমার জানা নাই, ৫০ বছরের ইতিহাসে, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর এ ধরনের কোনো ক্লাবে পুলিশের প্রধান সভাপতির দায়িত্ব বা এই রকম ক্লাব প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে দায়িত্ব পালন করেছেন। এ বিষয়ে জাতীয় সংসদে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করে হারুনুর রশীদ বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বেপরোয়া যেসব কর্মকাণ্ড, মাদক কারবারের সঙ্গে তারাও জড়িয়ে পড়েছে। তিনি বলেন, চিত্রনায়িকা পরীমনিকে গ্রেপ্তার ও জামিনের ঘটনাও বেশ নাড়া দিয়েছে। জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর পরীমনি গণমাধ্যমে বলেছেন, কত নাটক করে তাকে ধরে নেয়া হয়েছে। তাকে বলা হয়েছিল, শুধু অফিসে নেয়া হবে আর কিছু জিজ্ঞাসা করা হবে।
কিন্তু তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। হারুনুর রশীদ বলেন, পরীমনির ঘটনা তদন্তের তদারক কর্মকর্তাকে ইতিমধ্যে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। পরীমনির বাসায় অভিযান চালিয়েছিল র্যাব। র্যাব নিজেরা এই ঘটনা তদন্ত করার দাবি জানিয়েছিল। কারণ, এর পেছনে অনেক বড় শক্তি জড়িত। এদের যারা ব্যবহার করছে, তাদের চিহ্নিত করা দরকার। পরীমনিকে গ্রেপ্তারের ঘটনা নিয়েও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করেন বিএনপির এই এমপি। তিনি বলেন, পরীমনির ঘটনায় হাইকোর্ট পর্যন্ত উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। আদালত বলেছেন, পরীমনি একজন নারী, অসুস্থ, চিত্রজগতের কর্মীর জন্য জামিন দেয়া হয়েছে। এটা কোনো কথা হতে পারে? তাকে পরপর কেন তিন দিন রিমান্ডে নেয়া হলো, এটি নিয়ে হাইকোর্ট জজকোর্টের নথি তলব করেছেন। এটা নিয়ে জনগণের মধ্যে ‘পারসেপশনটা’ ভিন্ন হচ্ছে। তিনি প্রশ্ন রাখেন, র্যাব যে পরীমনিকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালিয়েছিল, গ্রেপ্তার করেছিল, তার বাড়িতে যে মিনি বার, এগুলো কি অসত্য? স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান অবশ্য এসব বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনো বক্তব্য দেননি।
এদিকে সংসদ অধিবেশনে পয়েন্ট অব অর্ডারে আলোচনার সুযোগ নিয়ে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য মোছলেম উদ্দিন বলেছেন, বিদেশ যেতে হলে করোনা পরীক্ষার নেগেটিভ থাকতে হয়। অনেক সময় করোনা পরীক্ষায় যাত্রীদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়। বিষয়টি বিবেচনা নিয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, হযরত শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পিসিআর ল্যাব স্থাপন করা জরুরী।