অপরাধমূলক কাজে জড়িয়ে গত দুই বছরে চাকরিচ্যুত হয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় কর্মরত ২৫ জন পুলিশ সদস্য। এর মধ্যে কনস্টেবল, সহকারী উপ-পরিদর্শক ও উপ-পরিদর্শক রয়েছেন। এছাড়া জেলার ১০০ পুলিশ সদস্যকে বিভিন্ন অপরাধে বড় ধরনের শাস্তি দেয়া হয়েছে।
সোমবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিছুর রহমান।
তিনি বলেন, পুলিশে যোগদান করেছি দুই বছরের অধিক সময় হয়েছে। জেলা পুলিশে কর্মরত পুলিশ সদস্যরা শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজে যুক্ত থাকায় আমি ২৫ জনকে চাকরিচ্যুত করে দিয়েছি। মোট ১০০ জনকে দিয়েছি বড় ধরনের শাস্তি। আমি এ নিয়ে কোনো দ্বিধা করিনি। এই বাহিনীর সুনাম ক্ষুণ্ণ হয় এমন ধরনের কোনো কিছু বরদাস্ত করা হবে না।
এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান বলেন, ‘পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে তদন্তের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেয়া হবে। পুলিশ বিভাগে কোনো অপরাধীর জায়গা নেই। আমি ২৫ জনকে চাকরিচ্যুত করেছি। ১০০ জনকে বড় ধরনের শাস্তি দিয়েছি। আমার হাত এক্ষেত্রে কোনো কার্পণ্য করেনি। ২৫ জনকে বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছি। এই ঘর অবশ্যই অপরাধমুক্ত হবে।’
অপরাধ কমিয়ে আনার ব্যাপারে পুলিশ সুপার বলেন, ‘লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ড’ নামে একটি অ্যাপ চালু করা হয়েছে। যে কেউ তার এনআইডি দিয়ে ওই অ্যাপের মাধ্যমে দেশের যে কোনো প্রান্ত থেকে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে পারবেন। ফলে থানাগুলোতে এখন আর পুরনো পদ্ধতিতে জিডি বইয়ের ব্যবহার করতে হয় না। এছাড়া ক্রাইম ডাটা ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম বা (সিডিএমএস’র) মাধ্যমে জেলার সব পুলিশ সদস্যের তিন বেলা হাজিরা ও ডিউটি নিশ্চিত করা হচ্ছে।
এ সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মোল্লা মোহাম্মদ শাহীন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হেডকোয়াটার্স) মো: আবু সাঈদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোজাম্মেল হোসেন রেজা, সরাইল সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মো: আনিসুর রহমানসহ পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।