এখনও বাংলার আকাশে ষড়যন্ত্রের গন্ধ: ওবায়দুল কাদের

রাজনীতি


বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পর অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির পাঁয়তারা চলছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার একটি দেশে ক্ষমতার পরিবর্তনে এখানে একটি গোষ্ঠী উচ্ছ্বসিত। তারাই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার পর বিশ্ববিদ্যালয়কে ঘিরে অস্থিতিশীলতা তৈরির ষড়যন্ত্রের প্রস্তুতি নিচ্ছে। আজ ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। আফগানিস্তানের নাম উল্লেখ না করে ওবায়দুল কাদের বলেন,এখনও বাংলার আকাশে ষড়যন্ত্রের গন্ধ। সতর্ক থাকতে হবে। সামনের দিনে আরও চ্যালেঞ্জ আছে।

দক্ষিণ এশিয়ার একটি দেশে ক্ষমতার পরিবর্তনের পর একটি গোষ্ঠী উচ্ছ্বসিত। এখানে তাদের মতলবটা কী? শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি চলছে। বিশ্ববিদ্যালয়কে ঘিরেই তারা বিশৃঙ্খলা তৈরি করবে। বিশ্ববিদ্যালয় খোলার প্রস্তুতির সঙ্গে সঙ্গে তারা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির প্রস্তুতি নিচ্ছে। ষড়যন্ত্রের প্রস্তুতি নিচ্ছে, শেখ হাসিনার সরকার হটানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। ছাত্রলীগকে সজাগ থাকতে হবে। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে নিজেরা নিজেদের শত্রু হবেন না। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলামকে এতো প্রশ্ন করি তিনি জবাব দেন না। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর মোস্তাকের প্রধান সেনাপতি কে ছিল? বঙ্গবন্ধুর খুনিদের কে বিদেশে পাঠিয়েছিল, কে খুনিদের বিদেশে চাকরি, পুরস্কৃত করেছিল। এগুলোর উত্তর দিতে পারবেন না। এ জন্য আগস্ট মাস এলে তাদের গাত্র জ্বালা করে। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার তদন্তে কেন স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডকে তদন্ত করতে দিল না। কেন এফবিআইকে আসতে দিল না। ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ১৫ আগস্ট বেগম জিয়ার পঞ্চম জন্মদিন। আরও একটি জন্মদিন দেখলাম করোনার টিকা নেয়ার সময় রেজিস্ট্রেশনে। একটা মানুষের দুইটা জন্মদিন হতে পারে। কিন্তু একটা মানুষের ছয়টি জন্ম দিন হয় কিভাবে? যদি ছয়টি জন্মদিন হয় তবে বেগম জিয়াকে নোবেল পুরস্কার দিতে হয়। তিনি বলেন, আমি বেগম জিয়ার জন্মদিন নিয়ে কথা বলায় মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ওবায়দুল কাদের শিষ্টাচার লঙ্ঘন করেছেন। আমি হাওয়া থেকে পাওয়া কথা বলছি না। আমি জীবনী থেকে পাওয়া কথা বলছি। আমি বলেই যাবো যত দিন না মির্জা ফখরুল জবাব দেবেন। অনুষ্ঠানে বিএনপির মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, চন্দ্রিমা উদ্যানে কি কারণে মাতম করেন? কাঠের বাক্সের মধ্যে জিয়াউর রহমানের লাশ ছিল সেটা প্রমাণ করেন? চট্টগ্রাম থেকে যে কাঠের বাক্সটি এসেছিল সেই বাক্স খুলে তার স্ত্রী খালেদা জিয়াকেও খুলে দেখানো হয়নি। ১৫ আগস্টকে খুঁজতে গেলে আমাদেরকে এক্ত্তারকে খুঁজতে হবে বলে মন্তব্য করেন জাহাঙ্গীর কবির নানক। তিনি বলেন, সেদিন স্বাধীন বাংলা সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছিল কারা? সেদিন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে মুখ থুবড়িয়ে ফেলার ষড়যন্ত্র করেছিল কারা? কারা সেদিন পাকিস্তানের সামরিক গোয়েন্দাদের প্রতিযোগী হিসাবে ভিতরে ঢুকে পড়ে মুক্তিযুদ্ধকে বিপদগ্রস্থ করতে চেয়েছিল, সেই সামরিক অফিসার কারা? সেদিন বাংলাদেশকে পাকিস্তানের ফেডারেশন করতে চেয়েছিল এই জিয়া-মোশতাকরা। তিনি বলেন,২১ শে আগস্টে আর্জেস গ্রেনেড পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ব্যবহার করে। পাকিস্তানের ফ্যাক্টরিতে এটি তৈরি হয়। সেই গ্রেনেড কিভাবে বাংলাদেশে আসল তার জবাবও চান জাহাঙ্গীর কবির নানক। তিনি আরও বলেন, হত্যাকান্ড ঘটালেন, সারাদিন কোন পুলিশ ছিল না। তারপর আমরা যখন উদ্ধার করতে গেলাম তখন আমাদের উপর পুলিশ অতর্কিত টিয়ারগ্যাস লাঠিচার্জ করে হামলা করল কেন? কেন সেদিন লাশ গুম করতে চেয়েছিলেন? কিন্তু জনতার বাধায় আপনারা সেদিন লাশ গুম করতে পারেননি। ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় ছাত্রলীগ শাখার সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাসের সভাপতিত্বে সভা পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *