তালেবান দৃঢ়ভাবে জানিয়েছে, তারা যখন পরাশক্তিগুলোকে হারাতে পেরেছে, তখন আফগানদের নিরাপত্তাও দিতে পারবে। দেশবাসীকে নিশ্চিন্তে থাকার পরামর্শ দিয়ে এই আহ্বান জানিয়েছে তালেবান।
কাবুলের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা শীর্ষ স্থানীয় তালেবান নেতা খলিল উর রহমান বলেছেন, ইসলামি আমিরাতে সকল আফগানের স্বস্তি অনুভব করা উচিত। তাছাড়া দেশের ৩৪টি প্রদেশেই সাধারণ ক্ষমা মঞ্জুর করা হয়েছে।
আল জাজিরার সাথে আলাপকালে রোববার খলিল উর রহমান বলেন, তালেবান দেশের শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, আমরা পরাশক্তিগুলোকে পরাজিত করেছি। তাই নিশ্চিতভাবেই আমরা আফগান জনগণকে নিরাপত্তাও দিতে পারব।
পাঞ্জশিরের নিয়ন্ত্রণ নিতে রওনা শত শত যোদ্ধার
‘বিদ্রোহীদের’ হাত থেকে পাঞ্জশির উপত্যকাকে মুক্ত করতে ‘শত শত’ যোদ্ধা রওনা হয়েছে বলে জানিয়েছে তালেবান। তাদের হাতে এখনো যে কয়েকটি এলাকার নিয়ন্ত্রণ নেই, তার অন্যতম হলো এই পাঞ্জশির।
রাজধানী কাবুলসহ প্রায় পুরো আফগানিস্তান তালেবানের হাতে চলে এলেও সাবেক সরকারের কিছু সৈন্য পাঞ্জশিরে সমবেত হয়ে প্রতিরোধ চালানোর ঘোষনঅ দিয়েছে। কাবুলের উত্তরে অবস্থিত এ এলাকাটি তালেবানবিরোধী দুর্গ হিসেবে পরিচিত।
তালেবানের আরবি টুইটার অ্যাকাউন্টে রোববার বলা হয়, স্থানীয় সরকারি কর্মকর্তারা শান্তিপূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণ তুলে দিতে অস্বীকার করার পর ইসলামি আমিরাতের শত শত মুজাহিদিন নিয়ন্ত্রণ নিতে পাঞ্জশির যাচ্ছে।
এদিকে ওই এলাকার নিয়ন্ত্রণে থাকা আহমদ মাসুদ বলেছেন, তিনি আশা করেন যে তালেবানের সাথে শান্তিপূর্ণ আলোচনা হবে। তবে তার বাহিনী যুদ্ধ করতে প্রস্তুত।
তিনি টেলিফোনে রয়টার্সকে জানান, আমরা তালেবানকে বোঝাতে চাই যে আলোচনাই একমাত্র পথ হওয়া উচিত। তিনি পাঞ্জশিরে নিয়মিত সামরিক ইউনিট ছাড়াও বিশেষ বাহিনীর সদস্যদের জড়ো করেছেন।
১৯৮০-এর দশকে সোভিয়েতবিরোধী প্রতিরোধ আন্দোলনের অন্যতম নেতা আহমদ শাহ মাসুদের ছেলে আহমদ মাসুদ বলেন, তালেবান যদি উপত্যকায় হামলা চালানোর চেষ্টা করে, তবে তার বাহিনী প্রস্তুত।
তবে তালেবান বাহিনী তাদের অভিযান শুরু করেছে কিনা তা নিয়ে কিছু সংশয় রয়ে গেছে। তালেবানের এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, ইতোমধ্যেই পাঞ্জশিরে হামলা শুরু হয়েছে। তবে মাসুদের এক সহকারী জানা, এখনো কোনো আলামত দেখা যাচ্চে না।
একটি সংক্ষিপ্ত ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, আটক করা সরকারি ট্রাকের একটি বহরে তালেবানের পতাকা উড়িয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।
গত ১৫ আগস্ট তালেবান বাহিনীর হাতে কাবুলের পতন ঘটে। এরপর পাঞ্জশিরের সীমান্তে থাকা বাগলান প্রদেশের তিনটি জেলা থেকে তালেবান বাহিনীকে তাড়িয়ে দেয়া হয় বলে খবরে প্রকাশ।
সূত্র : আল জাজিরা