আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যখন হাজার হাজার মানুষ দেশত্যাগের জন্য ভিড় করেছে তখন তালেবান বলেছে, এই বিশৃঙ্খলার জন্য তারা দায়ী নন। তালেবানের এক মুখপাত্র বলেছেন, এসব মানুষকে বের করে নেয়ার জন্য পশ্চিমা দেশগুলোর আরো ভালো পরিকল্পনা থাকা উচিত ছিল।
১৫ আগস্ট তালেবান হঠাৎ করে কাবুলের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করার পর বিমানবন্দরে বিদেশগামী যাত্রীদের চাপ প্রচণ্ড বেড়ে যায়। এ অবস্থায় সেখানকার শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্য কয়েকদিন বিমান চলাচল বন্ধ থাকার পর শুক্রবার থেকে আবার ফ্লাইট ওঠানামা শুরু হয়।বিমানবন্দরটি বর্তমানে মার্কিন সেনাদের নিয়ন্ত্রণে থাকলেও তারা পরিস্থিতি সামাল দিতে পারছে না।
বর্তমানে নিয়মিত বিমান ওঠানামা করলেও কাবুল বিমানবন্দরের আশপাশে হাজার হাজার মানুষ ঠাসাঠাসি করে তাদের কাঙ্ক্ষিত ফ্লাইট ধরার চেষ্টা করছে। এদের মধ্যে কারো কারো কাছে বিদেশ ভ্রমণের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র থাকলেও অনেকের কাছেই পাসপোর্ট, ভিসা বা টিকেট নেই।
বিমানবন্দর থেকে মাত্র ২০০ মিটার দূরের একটি হোটেলে মার্কিন নাগরিকরা দেশে ফেরার অপেক্ষায় রয়েছেন। তাদেরকে বিমানবন্দরের রানওয়েতে পৌঁছানোর জন্য আমেরিকাকে হেলিকপ্টার ব্যবহার করতে হচ্ছে। পেন্টাগন বলেছে, তারা তিনটি হেলিকপ্টার ব্যবহার করে ১৬৯ জন মার্কিন নাগরিককে কাবুল বিমানবন্দরে পৌঁছে দিয়েছে।
গত শনিবার (১৫ আগস্ট) তালেবান কাবুল দখল করার পর ১৬ আগস্ট থেকে বিমানবন্দরে আফগানদের ভিড় বাড়তে থাকে। গোলযোগ নিয়ন্ত্রণে বিমানবন্দরের দায়িত্বে থাকা মার্কিন সেনারা গুলি চালালে এ পর্যন্ত অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, চলতি মাসের শেষ নাগাদ সব মার্কিন নাগরিককে আফগানিস্তান থেকে ফিরিয়ে নেয়া যেতে পারে বলে তিনি আশা করছেন। তবে বাইডেন এও বলেন, বিমানবন্দরে আরো মানুষ মারা পড়তে পারে।
সূত্র : পার্সটুডে