দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে দেশে চিকিৎসা চলছিল ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়ার। স্বাস্থ্যের কোনো উন্নতি না হওয়ায় আজ বুধবার তাকে ভারতে নেয়া হচ্ছে।
চার কেজি ওজনের টিউমার অপসারণের পরও অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে ভারতে নেয়া হচ্ছে গুরুতর অসুস্থ জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ও গাইবান্ধা-৫ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) অ্যাডভোকেট মো. ফজলে রাব্বী মিয়াকে।
দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে দেশে চিকিৎসা চলছিল তার। স্বাস্থ্যের কোনো উন্নতি না হওয়ায় ভারতে নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা ও ডেপুটি স্পিকারের পরিবারের একাধিক সদস্য বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তারা জানান, গত জুনে ডেপুটি স্পিকারের পেটে টিউমারের অস্ত্রোপচার হয়। রাজধানীর ল্যাবএইড স্পেশালাইজড হাসপাতালে ওই অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে চার কেজি ওজনের টিউমার অপসারণ করা হয়। এর পরও ফজলে রাব্বী পুরোপুরি সুস্থ হতে পারেননি। এরই মধ্যে নানা জটিলতা দেখা দেয়। নিউরো সায়েন্স, ল্যাবএইডসহ বিভিন্ন হাসপাতালে অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরও রোগ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
বিষয়টি নিয়ে ল্যাবএইড হাসপাতালের অ্যাডভাইজার অ্যান্ড চিফ কনসালট্যান্ট সার্জন অধ্যাপক ডা. খাদেমুল ইসলামের নেতৃত্বে মেডিক্যাল বোর্ড ভারতীয় চিকিৎসকদের সাথে পরামর্শ করে। এরপর তাকে বিদেশে নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
পারিবারিক সূত্রে আরো জানা যায়, ডেপুটি স্পিকারের চিকিৎসা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর পরামর্শ নেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী সিঙ্গাপুরে নেয়ার পরামর্শ দিলেও করোনা পরিস্থিতির কারণে বিমান যোগাযোগ বন্ধ থাকায় সেখানে নেয়া সম্ভব হচ্ছে না। সেখানকার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী ভারতের মুম্বাইয়ের টাটা মেমোরিয়াল হাসপাতালে নেয়া হচ্ছে তাকে।
ডেপুটি স্পিকারকে প্রথমে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে বেনাপোল নেয়া হবে। সেখান থেকে সীমান্ত পার হয়ে সড়কপথে কলকাতার নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু (দমদম) বিমানবন্দরে নেয়া হবে। সেখান থেকে উড়োজাহাজে করে মুম্বাই যাওয়ার কর্মসূচি চূড়ান্ত করা হয়েছে। তার সাথে দুই মেয়ে ও এক জামাতা যাচ্ছেন।