গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মির্জা আব্বাস ও সদস্য সচিব হাবিব-উন নবী খান সোহেল। একইসঙ্গে দলের নেতাকর্মীদের সর্বোচ্চ ত্যাগ নিয়ে আন্দোলনের শেষধাপে আত্মনিয়োগ করার আহ্বান জানিয়েছেন তারা। শুক্রবার সন্ধ্যায় মির্জা আব্বাসের প্রেস সচিব জাহাঙ্গীর আলম মিন্টুর স্বাক্ষরিত যৌথ বিবৃতিতে এ আহ্বান জানান তারা। বিবৃতিতে উভয় নেতা বলেন, সরকার শুরু থেকেই বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে তাদের কোন মৌলিক, সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক অধিকার পালন করতে দিচ্ছে না। উপরন্তু তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে তার কার্যালয়ে ৪০ দিন ধরে অবরুদ্ধ করে রেখেছে। তার ওপর পেপার স্প্রে নিক্ষেপ, কার্যালয়ের বিদ্যুৎ লাইনসহ সব সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে। সর্বশেষ খাবার ও পানি সরবরাহও বন্ধ করে দিয়েছে। তারা বলেন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতিতে গত এক সপ্তাহ ধরে খালেদা জিয়ার কার্যালয়ের সামনে ভাড়াটে লোক দিয়ে মানববন্ধন ও সমাবেশের নামে তাকে গালিগালাজ করা এবং কার্যালয়ে ইটপাটকেল ছুড়ে মারার মতো একের পর এক চরম উস্কানিমূলক কাজ করে যাচ্ছে সরকার। এতকিছুর পরও ২০-দলের নেতা-কর্মীরা ধৈর্যের সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলা করে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। এতে সরকার ও তাদের পা-চাটা দালালদের ধৈর্যচ্যুতি ঘটেছে। তারা নতুন সংসদ নির্বাচনের জন্য আন্দোলনকে কলঙ্কিত করতে বিভিন্ন স্থানে সহিংসতা ও নিরীহ মানুষজনের ওপর পেট্রলবোমা মেরে তার দায় ২০-দলের ওপর চাপাচ্ছে। তারা বলেন, আমরা মনে করি, গণতন্ত্র পুনরুদ্দারের আন্দোলন এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে উপনীত হয়েছে। এ অবস্থায় ২০-দলের নেতা-কর্মীদের সর্বোচ্চ ত্যাগের মানসিকতা নিয়ে শেষ ধাপের আন্দোলনে আত্মনিয়োগ করতে হবে। খুনিদের সঙ্গে কিসের সংলাপ?- প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানিয়ে আব্বাস ও সোহেল বলেন, খুনের রাজনীতি বিএনপি নয়, আওয়ামী লীগ করে। তাদের অতীত ইতিহাস তাই বলে। নেতারা বলেন, বিএনপি বানের পানিতে ভেসে আসা কোন দল নয়। দেশের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দল। জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে এই দল তিনবার ক্ষমতায় এসেছে। কেউ যদি ক্ষমতার মোহে অন্ধ হয়ে বিএনপিকে খুনি-জঙ্গি দল হিসেবে আখ্যা দেয়, তাহলে তারা বোকার স্বর্গে বাস করছে। সংকট নিরসন করতে চাইলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে সংলাপ করতে হবে। সরকার পদত্যাগ করে নতুন নির্বাচন ও বিরোধী জোট নেতাকর্মীদের ওপর গুম-খুন ও দমন-পীড়নের প্রতিবাদে শনিবারের বিক্ষোভ কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে সফল করতে দলের সকল স্তরের নেতা-কর্মীসহ নগরবাসীকে আহ্বান জানান ঢাকা মহানগরের এই শীর্ষ দুই নেতা।