চলতি মাসের মধ্যেই আইপি টিভির অনুমোদন দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তবে এ ধরনের চ্যানেল প্রকাশ করতে পারবে না কোনো সংবাদ। সচিবালয়ে সোমবার এক প্রশ্নের জবাবে আইপি টিভি নিয়ে এ কথা বলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, ‘দেশে বহু আইপি টিভি চালু আছে এবং বহু আইপি টিভি আসবে বা হবে। যে যার মতো করে সংবাদ পরিবেশন করে, বিভ্রান্তি ছড়াবে এটি কাম্য নয়। সুতরাং যে নীতিমালা পাস হয়েছে সেখানে বলা হয়েছে আইপি টিভি রেজিস্ট্রেশনের অনুমোদন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় দেবে। তবে তারা সংবাদ পরিবেশন করতে পারবে না।’
কবে নাগাদ আইপি টিভির অনুমোদন দেয়া শুরু হবে, এমন প্রশ্নে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা খুব সহসা অনুমোদন দেবো। অনুমোদন দিলেও কোনো আইপি টিভি সম্প্রচার নীতিমালা অনুযায়ী সংবাদ পরিবেশন করতে পারবে না। কারণ সংবাদ পরিবেশন করতে আমাদের মূলধারার টিভিগুলোও শুরুতে অনুমোদন পায় না। প্রথমে ছয় মাস এক বছর চালানোর পর আবার তাদের সংবাদ পরিবেশনের জন্য আবেদন করতে হয়, তখন তারা অনুমোদন পায়।’
বিতর্কিত ব্যবসায়ী হেলেনা জাহাঙ্গীরকে সম্প্রতি গ্রেফতারের প্রেক্ষাপটে ‘জয়যাত্রা’ নামে তার আইপি টিভিও বন্ধ করে দেয়া হয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানায়, চ্যানেলটির কোনো অনুমোদন নেই।
দেশে অসংখ্য আইপি টিভি আছে যেগুলোর কোনো অনুমোদন নেই সেসব চ্যানেলের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হবে কি না জানতে চাওয়া হয় তথ্যমন্ত্রীর কাছে।
জবাবে বলেন, ‘প্রথমত দেশে কোনো আইপি টিভির অনুমোদন নেই। আমরা ইতোমধ্যে রেজিস্ট্রেশন দেয়া শুরু করেছি এবং আবেদন আহ্বান করা হয়েছে। সব মিলিয়ে ৬০০ মতো আবেদন পড়েছে।’
‘আমরা খুব সহসা এ মাসের মধ্যেই অনুমোদন দেবো। যেহেতু আমরা অনুমোদন দেয়া শুরু করিনি তাই কোনোটার অনুমোদন নাই’- বলেন তথ্যমন্ত্রী।
হাছান মাহমুদ জানালেন, অন্য সবার মতো হেলেনা জাহাঙ্গীরের আইপি টিভিরও অনুমোদন নেই। কিছু আইপি টিভির বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ আছে। সেই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অনেক সময় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কিছু কিছু আইপিটিভি দেখা গেছে ব্যক্তি স্বার্থে পরিচালিত হয়। তারপর নানা ধরনের বিভ্রান্তি ছড়ায়, নানা ধরনের অনুষ্ঠান প্রচার করে, সংবাদ পরিবেশন করে। এ ধরনের কোনো অভিযোগ আমাদের নজরে আসলে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করি। ইতোমধ্যে অনেকগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তার (হেলেনা জাহাঙ্গীর) ক্ষেত্রেও একই ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।’