গাজীপুরে ভিলেজ লকডাউন জরুরী

Slider টপ নিউজ


ইসমাইল হোসেন, গাজীপুর: বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় করোনায় মৃত্যু ও সংক্রমণের সাথে গাজীপুরের পরিসংখ্যান প্রতিযোগীতা করছে। এ পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা ৩১৩ তে দাঁড়িয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা ১৬৫৪২। আক্রান্তের মধ্যে

গাজীপুর সদর হিসেবে পরিচিত গাজীপুর মহানগর ও সদর উপজেলায় ১০৩৩৯ জন শনাক্ত। দ্বিতীয় অবস্থানে শ্রীপুর, আক্রান্তের সংখ্যা ২১০৮ । প্রথমে পিছিয়ে থাকলেও এখন তৃতীয় অবস্থানে কালিয়াকৈর উপজেলা, আক্রান্তের সংখ্যা ১৭৬৩।
কাপাসিয়াতে ১১৭১। সর্বশেষ কালিগঞ্জে ১১৬১। এই পর্যন্ত ১২০৬৭৪টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে । এর মধ্যে ১৬৫৪২ জনের করোনা শনাক্ত হয়। মোট সুস্থ্য হয়েছেন ১৩২৮৮ জন।

গাজীপুর জেলা সিভিল সার্জন অফিস এই তথ্য জানায়।

পরিসংখ্যান বলছে, বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় করোনায় মৃত্যু ও আক্রান্তের চেয়ে গাজীপুরে কম নয়। শিল্প অধ্যুষিত গাজীপুর জেলায় করোনা সংক্রমনের এই পরিসংখ্যান যেন কারো মাথা ব্যথা তৈরি করতে পারছে না। কিছুদিন আগে বন্ধ ছিল শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজের একমাত্র করোনা পরীক্ষার ল্যাব । বর্তমানে শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ঢাকা-গাজীপুর সীমান্তে অবস্থিত বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুননেছা মুজিব মেমোরিয়াল কেপিজে বিশেষায়িত হাসপাতালে করোনা পরীক্ষা করা হয়। কোনাবাড়ী, কাশিমপুর, সাভার ও আশুলিয়া এলাকার লাখ লাখ শ্রমিকের করোনা পরীক্ষার জায়গা শেখ ফজিলাতুননেছা মুজিব বিশেষায়িত হাসপাতাল হওয়ায় গাজীপুর সদরের মানুষ যায় কম। ফলে স্বল্প সক্ষমতার পরীক্ষা কেন্দ্র শহীদ তাজউদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেই চলে করোন পরীক্ষা।

গাজীপুর জেলায় প্রায় দেড় কোটি মানুষের জন্য দুটি মাত্র পরীক্ষা কেন্দ্র করোনা শনাক্তের জন্য যথেষ্ট নয়। বাস্তবতা বলছে, করোনা শনাক্তের সুযোগ সীমিত হওয়ায় প্রতিদিন প্রকৃত অর্থে করোনা শনাক্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা নিরুপন করা কঠিন হয়ে পরছে।

সরেজমিন ঘুরে জানা যায়, গাজীপুর জেলায় গ্রাম অঞ্চলে হাট বাজার খোলা, ঈদুল আযহার নামাজ খোলা মাঠেই হয়েছে। গ্রামের জীবন যাত্রায় লকডাউন কোন প্রভাব ফেলতে পারছে না। মানুষের কৌশলী চলাচল গ্রাম ও শহরকে এক করে রাখছে। লকডাউনে ঈদ পূণর্মীলনী, বিবাহ অনুষ্ঠান সহ সামাজিক আচার অনুষ্ঠান যথারীতি চলমান।

সচেতন মহল বলছেন, সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী করোনা সংক্রমণে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে না পারায় আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষে বিধিনিষেধ বাস্তবায়ন সম্ভব হচ্ছে না। পরিস্থিতি এভাবেই চলতে থাকলে গাজীপুরের করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *