সিলেট: নির্বাচন কমিশন সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করছে বলে মন্তব্য করেছেন সিইসি কেএম নূরুল হুদা। তিনি শনিবার দুপুরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন। এ সময় সিইসি’র কাছে সাংবাদিকদের প্রশ্ন ছিল- নির্বাচন কমিশন এত কাজ করছে, নির্বাচনেরও আয়োজন করছে- তবে কেন বড় দলগুলোর আস্থা আপনারা অর্জন করতে পারছেন না। জবাবে সিইসি বলেছেন- ‘সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করার জন্য যা যা করার দরকার আইনগতভাবে সেগুলো আমরা করি। তারপরেও এখন কোনো রাজনৈতিক দল কেন খুশি থাকবে না সেটা আমি বলতে পারবো না। সেটা তাদের ব্যাপার।’ অপর এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি আরও বলেন- আইন ও সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণে নির্বাচন পেছানোর কোনো সুযোগ নেই। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সুষ্ঠু ভোটগ্রহণ নিশ্চিতে কঠোর অবস্থানে থাকবে প্রশাসন। এ ছাড়া সিলেট-৩ আসনে ইভিএমে ভোট গ্রহণ হবে এবং যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভোট গ্রহণের জন্য সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানান সিইসি।
আগামী ২৮শে জুলাই সিলেট-৩ (দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জ) আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব, জাতীয় পার্টির প্রার্থী আতিকুর রহমান আতিক, বিএনপি’র সাবেক এমপি ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আলহাজ শফি আহমদ চৌধুরী ও বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী জুনায়েদ মো. মিয়া। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে ভোটগ্রহণের প্রস্তুতি শুরু করা হয়েছে। এই প্রস্তুতির অংশ হিসেবে শনিবার সিলেটে আসেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদা। তিনি দুপুরে সিলেটের জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠক করেন। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে কথা বলেন। মহামারি করোনাভাইরাসের বর্তমান পরিস্থিতিতে সবাইকে মাস্ক ব্যবহার ও নিরাপদ দূরত্ব মেনে ভোটকেন্দ্রে আসার আহ্বান জানান সিইসি। বৈঠকে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শাহাদাত হোসেন চৌধুরী (অব.), সিলেটের জেলা প্রশাসক ও সিলেট-৩ আসনের উপনির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার কাজী এমদাদুল ইসলাম সহ অন্যান্য প্রশাসনিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। করোনাকালে নির্বাচন আয়োজন প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শাহাদাত হোসেন চৌধুরী (অব.) বলেছেন- সংবিধানে নির্বাচন করার সাংবিধানিক সময়সীমা রয়েছে। এ কারণে নির্বাচন করতেই হচ্ছে। তবে- স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার দিকে বেশি নজর দেয়া হবে। বিশেষ করে নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের স্বাস্থ্যবিধি পালনের বিষয়ে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হবে। পাশাপাশি ভোটাররাও স্বাস্থ্যবিধি মেনে কেন্দ্রে এসে ভোট দেবেন। প্রতিটি কেন্দ্রে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।