সব পোশাকশ্রমিক-কর্মকর্তাদের টিকার আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন গাজীপুরের সিভিল সার্জন ডা. মো. খায়রুজ্জামান। রোববার সকালে মহানগরের কোনাবাড়ি এলাকার তুসুকা ডেনিম লিমিটেডে করোনার টিকা প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।
এর আগে টিকা প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র অ্যাডভোকেট মো. জাহাঙ্গীর আলম।
সিভিল সার্জন ডা. মো. খায়রুজ্জামান বলেন, করোনা প্রতিরোধ করার জন্য গাজীপুরে ফেব্রুয়ারি থেকে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়েছে এবং সেটা অব্যাহত আছে। সারাদেশের গার্মেন্টস ও শিল্প-কলকারখানার শ্রমিকদের টিকাদান কর্মসূচির আওতায় আনার চেষ্টা করছি।
তিনি বলেন, আমাদের টিকাদান কর্মসূচি মূলত হাসপাতালকেন্দ্রিক। কিন্তু আমরা পোশাকশ্রমিকদের জন্য গার্মেন্টসে গার্মেন্টসে গিয়ে টিকা দিচ্ছি। এ কাজটি করতে আমরা দীর্ঘদিন ধরে প্রশিক্ষণ নিয়েছি। আমাদের টিমকে প্রশিক্ষিত করেছি, ভ্যাক্সিনেটরদের প্রশিক্ষিত করেছি। আমাদের সমস্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি।
আমরা গার্মেন্টস কর্মী সব ভাই-বোনকে টিকার আওতায় আনব। এরই অংশ হিসেবে আজ চারটি গার্মেন্টসে টিকাদান কর্মসূচি শুরু করেছি। বোরবার ১২ হাজার টিকা দেয়ার চেষ্টা করব। যতক্ষণ এটা শেষ না হয় ততক্ষণ চলবে। আগামীকাল ৮টা গার্মেন্টসের শ্রমিকদের টিকা দেয়ার কার্যক্রম শুরু করার ইচ্ছা আছে। পর্যাক্রমে সমস্ত গার্মেন্টসকে টিকাদানের আওতায় আনা হবে। দেশে প্রচুর টিকা আছে। তারই অংশ হিসেবে আমাদের এ কার্যক্রম চলবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- গাজীপুরের জেলা প্রশাসক এসএম তরিকুল ইসলাম, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের
প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আমিনুর ইসলাম, গাজীপুর মেট্টোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার অপরাধ (উত্তর) মো. জাকির হাসান, মার্কস অ্যান্ড স্পেন্সারের হেড অব কান্ট্রি স্বপ্ন ভোমিক ও কেয়ার বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর রমেশ সিং, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. রহমতুল্লাহ্, তুসুকা ডেনিম লিমিটেডের পরিচালক মো. দেলোয়ার হোসেন, মার্কস অ্যান্ড স্পেন্সারের সিনিয়র সোশ্যাল কমপ্লিয়েন্স ম্যানেজার মিজানুর রহমান, কেয়ার বাংলাদেশের ডিরেক্টর হেলথ প্রোগ্রামার ডা. ইখতিয়ার উদ্দিন খন্দকার এবং হেড অফ আরবান হেলথ ডা. মো. জহিরুল আলম আজাদ।