মুন্সীগঞ্জঃ পবিত্র ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে দেশের দক্ষিণবঙ্গগামী ২১ জেলার ঘরমুখো মানুষ ও যানবাহনের প্রচণ্ড চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিধিনিষেধ শিথিলের চতুর্থ দিন রোববার সকাল থেকে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছোট-বড় যানবাহনে চড়ে যাত্রীরা ঘাটে উপস্থিত হচ্ছেন। ঘাটে আসা যাত্রীরা ফেরি ও লঞ্চযোগে পদ্মা পারাপার হচ্ছেন। মাওয়া চৌরাস্তা পর্যন্ত গাড়ির চাপ থাকলেও কোনো যানজট নেই। প্রত্যেকটি লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে করোনার কথা ভুলে গাদাগাদি করে পারাপার করছে লঞ্চ কর্তৃপক্ষ।
এদিকে গণপরিবহন ও ব্যক্তিগত গাড়ির চাপ বাড়ায় ফেরিতে যানবাহন পারাপারে বেগ পেতে হচ্ছে। এতে ঘাটে পারাপারের অপেক্ষায় ট্রাক ও ব্যক্তিগত গাড়ি যাত্রীবাহী বাসসহ রয়েছে ৫ শতাধিক গাড়ি। বাড়তি গাড়ির চাপে ব্যক্তিগত ও গণপরিবহনে আসা যাত্রীদের নদী পারাপারে অপেক্ষা করতে হচ্ছে দীর্ঘ সময়।
এ দিকে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে লঞ্চ সচল থাকায় ফেরিতে যাত্রী চাপ ও গাদাগাদি করেই মানুষ পার হচ্ছে আজকে। তবে লঞ্চগুলোতে মানা হচ্ছে না কোনো স্বাস্থ্যবিধি। অর্ধেক যাত্রী ধারণের কথা থাকলেও বেশিরভাগ লঞ্চে ধারণ ক্ষমতার চেয়ে অধিক যাত্রী নিয়ে চলাচল করছে। করোনা মহামারীতে সামাজিক দূরত্ব, মাস্ক পরা এবং প্রয়োজন ছাড়া না বের হওয়া কোনোটাই মানছে না ঘরমুখো মানুষগুলো।
সরজমিনে দেখা যায়, লঞ্চঘাটে হাজারো যাত্রীর ঢল। ফেরিঘাটের অভিমুখে পার্কিং ইয়ার্ডে যানবাহনের দীর্ঘ সারি। ব্যক্তিগত ও পণ্যবাহী ছোট-বড় ৫০০ শ’ গাড়ি পারাপারের জন্য অপেক্ষা করছে। এতে অপেক্ষারত যাত্রীদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডাব্লিউটিএ) শিমুলিয়া নদী বন্দর কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন বলেন, ১২টি ফেরি ও ৮২টি লঞ্চ সচল রয়েছে।
এ বিষয়ে বিআইডাব্লিউটিএ শিমুলিয়াঘাটের সহকারী উপ-মহাব্যবস্থাপক শফিকুল ইসলাম জানান, ১২টি ফেরি চলাচল করছে। পণ্যবাহী গাড়ি ও ব্যক্তিগত ছোট বড় ৫০০ গাড়ি পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে। পর্যায়ক্রমে সব যানবাহন পারাপার করা হবে। লঞ্চ চালু হওয়ায় ফেরিতে যাত্রী চাপ কমেছে। তবে গণপরিবহন ও প্রচুর ব্যক্তিগত গাড়ি ঘাটে আসায় পণ্যবাহী ট্রাকে পারপারে বেগ পেতে হচ্ছে।