ঢাকাঃ আবদুল্লাহ আল মনসুর (রিপন) পেশায় একজন আইনজীবি এবং রাজনীতিতেও বেশ সক্রিয়। কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক তিনি। আইন পেশায় নিজের অবস্থান করে নিয়েছেন বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টে। সম্প্রতি রাজনীতির নানাদিক নিয়ে প্রতিবেদকের সাথে কথা বলেন উদীয়মান এই রাজনীতিবিদ। আবদুল্লাহ আল মনসুর (রিপন)’র একান্ত সাক্ষাৎকার গ্রহণ শেষে বিষয়টি তুলে ধরছেন- মোঃ আবু বক্কর সিদ্দিক সুমন।
আব্দুল্লাহ আল মনসুর রাজনীতিতে আসেন কিশোরগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ¦ মোঃ আফজাল হোসেনের হাত ধরে। রাজনীতির শুরুর গল্পটা বলতে গিয়ে তিনি জানান, আফজাল হোসেন, এমপির সঠিক নেতৃত্বের কারণে বাজিতপুরে রাজনীতির একটি সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। যার ফলে সমাজের উচ্চশিক্ষিত ও সজ্জনরা উপজেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে নিজেদেরকে সম্পৃক্ত করেছেন। মূলত এখান থেকেই রাজনীতিতে আসার প্রয়াস লাভ করেন তিনি। এছাড়াও তার বড় ভাই আব্দুল্লাহ আল মামুন যিনি বর্তমানে বাজিতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ছাত্রলীগের নেতৃত্বে একজন সক্রিয় নেতা হওয়ায় বঙ্গবন্ধু আদর্শের রাজনীতির সাথে তিনিও খুব ছোট থেকেই পরিচিত ছিলেন। রাজনীতির মধ্য দিয়ে সমাজকে কিছু দেয়ার আছে মনে করেই সক্রিয় রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করেন আব্দুল্লাহ আল মনসুর (রিপন)।
আইন পেশা ও রাজনীতিকে একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ বলে মনে করেন কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মনসুর (রিপন)। ধীশক্তিবান এই রাজনীতিবিদের মতে, জন্মের পর থেকেই মানুষের মাঝে রাজনৈতিক চিন্তা-চেতনা ক্রিয়া করে থাকে। আবার মানুষ যখন নীতি-নৈতিকতার সাথে বেড়ে উঠে একটি যোগ্য অবস্থানে নিজেকে উপনীত করতে পারে তখনই অধিকারের প্রশ্নে তাকে আইন-কানুন জানতে হয়।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে অত্যন্ত আন্তরিক জানিয়ে আবদুল্লাহ আল মনসুর (রিপন)’র দাবী, সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে প্রত্যন্ত অঞ্চলে নানাভাবে এটি ছড়িয়ে দিতে অত্যন্ত আন্তরিক। নানাভাবে মানুষকে আইনের বিধি-বিধান জানানোর মধ্য দিয়ে বর্তমান সরকার কাজ করে যাচ্ছেন বলে তিনি মনে করেন।
দেশে বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক গুম, খুন, বিচারবহির্ভূত হত্যাকা- ও বাকস্বাধীনতারোধের সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন করলে আব্দুল্লাহ আল মনসুর বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলায় জননেত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য এবং বলিষ্ঠ নেত্রীত্বে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে অবস্থান করছে।’ সরকার বিভিন্ন সময় আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দ্বারা রাজনৈতিকভাবে স্বার্থসিদ্ধি হাসিল করছে, বিরোধী দলগুলোর এমন অভিযোগের বিষয়ে তার মন্তব্য- ‘রাজনৈতিক স্ট্যান্ডবাজি, রাজনৈতিক হাতিয়ার এবং কৌশল এগুলো সবগুলো এক জিনিস নয়। এরা প্রত্যেকেই আলাদা। তিনটিকে একত্রিত করে ফেললে হবেনা। রাজনৈতিক কৌশলের কারণে বিরোধী দলগুলো পিছিয়ে রয়েছে। তারা যদি জ¦ালাও-পোড়াওয়ের রাজনীতি করে তাহলে তো জনগণের জানমালের নিরাপত্তায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর হবে এটাই স্বাভাবিক।’
সম্প্রতি দেশে লাগামহীন দূর্নীতি ও লুটপাটের বিষয়ে আব্দুল্লাহ আল মনসুর (রিপন)’র বক্তব্য, ‘দূর্নীতি ও লুটপাটের বিরুদ্ধে বর্তমান সরকার পূর্ব থেকেই জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করে আসছে এবং লুটপাটের তো কোন প্রশ্নই আসেনা। তবুও এ ধরণের কর্মকা- যখন আমরা দেখতে পাই তখন কিন্তু সেগুলোকে প্রতিহত করতে আইনের প্রয়োগ ঘটানো হচ্ছে। এমনকি নিজের দলের কেউও যদি দূর্নীতি-অনিয়ম করে থাকেন তাহলে কিন্তু বর্তমান সরকার তাকেও ছাড় দেননি, সেটি কিন্তু জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার প্রমাণ করেছেন।’
আইন পেশার পাশাপাশি জনগণের সেবায় রাজনীতিকে একটি উদার জায়গা বলে মনে এই আইনজীবি। তার মতে, জনসম্পৃক্ত হওয়ার জন্য আইনের পেশার পাশাপাশি রাজনৈতিক অবস্থানের অন্য কোন বিকল্প দেখেন না তিনি। রাজনীতিতে প্রবেশ করে নিজেকে সংকীর্ণতায় নয় বরং বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারণ করে উদারতার সাথে পথ চলতে চান আব্দুল্লাহ আল মনসুর (রিপন)।
সাধারণ মানুষকে আইনগত সেবা প্রদান, রাজনীতিতে সময় দেয়াসহ সম্প্রতি তিনি জনপ্রিয় টেলিভিশন মাইটিভিতে ‘ল এন্ড রাইটস’ নামের একটি জনসচেতনতামূলক অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করছেন তিনি। এক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার নাসির উদ্দীন সাথী’র অনুপ্রেরণায় নিজেকে মিডিয়ার সাথে সম্পৃক্ত রাখছেন বলে জানান এই সমাজসেবক।