পাথরঘাটা (বরগুনা) প্রতিনিধি: পারিবারিক কলহের জের ধরে বরগুনার পাথরঘাটায় স্ত্রী সুমাইয়া (১৮) ও নয় মাস বয়সী মেয়ে সামিরা আক্তার জুঁইকে হত্যা করে মাটিতে পুঁতে রাখার অভিযোগ উঠেছে স্বামী সাহিন মুন্সীর বিরুদ্ধে। ঘটনার পর থেকেই ঘাতক স্বামী পালাতক রয়েছে।
আজ শনিবার সকাল ১০টার দিকে বাড়ির পার্শ্ববর্তী খালের পাড় থেকে মাটি খুঁড়ে মা ও মেয়ের লাশ উদ্ধার করে পাথরঘাটা থানা পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পাথরঘাটা সার্কেল তোফায়েল হোসেন সরকার।
স্থানীয় রাজ্জাক বাদশাহ জানান, দীর্ঘদিন ধরে সাহিন ও সুমাইয়ার মধ্যে পারিবারিক কলহ চলে আসছে। বিয়ের আগে তাদের অবৈধ শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে বাচ্চা জন্ম দেয়। এ নিয়ে পাঁচ মাস কারাভোগের পর আদালতের মাধ্যমে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই তাদের পারিবারিক কলহ চলতে থাকে। এ নিয়ে বেশ কয়েকবার সালিস বৈঠক হয়েছে।
তিনি আরও জানান, গত বুধবার দুপুরে সুমাইয়া বাবার বাড়িতে তাদের দাওয়াত ছিল। কিন্তু সাহিন সেখানে যায়নি। দুপুরে দাওয়াত খেয়ে সুমাইয়া তার স্বামীর বাড়িতে আসার পর থেকেই নিখোঁজ হয়। ঘটনাটি বৃহস্পতিবার থানা পুলিশকে জানালে তারাও বিভিন্ন স্থানে খোঁজ নেয়। এরপর থেকেই স্বামী সাহিন লাপাত্তা হয়ে যায় এবং মোবাইল ফোন বন্ধ করে রাখে।
পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবুল বাশার জানান, শনিবার সকালে স্থানীয়রা সাহিনের বাড়ির পাশে একটি নতুন গর্ত দেখে থানায় খবর দেয়। এরপর ঘটনা স্থলে এসে গর্ত খুঁড়ে দড়িতে হাত পা বেঁধে ভাঁজ করা অবস্থায় মা ও মেয়ের লাশ উদ্ধার করে সুরাত হাল করা হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পাথরঘাটা সার্কেল তোফায়েল হোসেন সরকার জানান, ঘটনার পর থেকেই ঘাতক স্বামী পালাতক রয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে বুধবার রাতের যেকোনো সময় তাদের হত্যা করে মাটি চাপা দেয় শাহিন। তাকে আটক করতে চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শাহিনের মা, দাদি ও মামাতো ভাইকে আটক করা হয়েছে।