চোখে ছিল একরাশ স্বপ্ন। দীর্ঘ চল্লিশ বছর পর ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশীপের সেমিতে খেলার। কিন্তু ইতালিতে সব আটকে গেল। স্বপ্নভঙ্গ হলো লুকাকুদের। মিউনিখের আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় শুক্রবার রাতে দ্বিতীয় কোয়ার্টার-ফাইনালে বেলজিয়ামকে ২-১ গোলে হারিয়ে শেষ চারের টিকিট পেয়েছে ইতালি।
২০১২ সালের পর প্রথমবারের মতো ইউরো ফুটবলে সেমিতে উঠে এলো ইতালি। অন্যদিকে সেমির অপেক্ষাটা আরও বাড়ল বেলজিকদের। ১৯৮০ সালে বেলজিয়ামের সর্বোচ্চ সাফল্য রানার্স আপ। এরপর দুইবার গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায়। ২০১৬ সালে দলটি বিদায় নিয়েছিল কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে। এবারও তাই।
মিউনিখে ম্যাচের প্রথম মিনিটেই দারুণ একটি সুযোগ তৈরি করেন বেলজিয়ামের ডি ব্রুনে। ডি-বক্সে খুঁজে নেন লুকাকুকে। তবে বল ঠিকমতো নিয়ন্ত্রণে নিতে পারেননি গ্রুপ পর্বে তিন গোল করা স্ট্রাইকার। ১৩ মিনিটে ইতালির প্রথম আক্রমণ। লিওনার্দো বোনুচ্চি জালে বল পাঠান। তবে ভিএআরের সাহায্যে অফসাইডের বাঁশি বাজান রেফারি।
৩১ মিনিটে এগিয়ে যায় ইতালি। জোরালো শটে দূরের পোস্ট দিয়ে গোলটি করেন ইন্টার মিলান মিডফিল্ডার বারেল্লা। ব্যবধান দ্বিগুণ করা গোলটি আরও সুন্দর। ৪৪ মিনিটে মাঝমাঠ থেকে বাঁ দিক দিয়ে উঠে একজনকে কাটিয়ে সামনে এগিয়ে প্রায় ২২ গজ দূর থেকে অসাধারণ এক শটে বল জালে পাঠান ইনসিনিয়ে। বাঁ দিকে ঝাঁপিয়েও বলের নাগাল পাননি বেলজিক গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়া।
প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময় ব্যবধান কমায় বেলজিয়াম। আর সেটা পেনাল্টি থেকে। লরেন্সো তরুণ ফরোয়ার্ড জেরেমি দোকুকে ধাক্কা দিলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। সফল স্পট কিকে স্কোরলাইন ২-১ করেন রোমেলু লুকাকু।
দ্বিতীয়ার্ধে গোলের দেখা পায়নি কোনো দল। তবে ৬১ মিনিটে সহজ গোলের সুযোগ নষ্ট করেন লুকাকু। যা বেলজিক শিবিরে বাড়ায় হতাশা। গোলে নিজেই শট নিতে পারতেন ডি ব্রুইনে। তবে নিশ্চিত হতে তিনি বল বাড়ান লুকাকুকে। ওখানে ছোট একটা টোকার দরকার ছিল, লুকাকু দিলেনও। কিন্তু প্রতিপক্ষের পায়ে লেগে ফেরত আসে। ৮৩ মিনিটে দোকুর জোরালো শট ক্রসবারের ওপর দিয়ে চলে যায়।
শেষ বাশি বাজার পর ইতালি শিবিরে যখন আনন্দ উল্লাস, লুকাক-ব্রুইনেদের চোখ অশ্রুসজল। ফিফা র্যাংকিংয়ে এক নম্বরে থাকা দলের হলো না সেমিতে খেলার স্বপ্ন। লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে আগামী মঙ্গলবার সেমি-ফাইনালে স্পেনের মুখোমুখি হবে ইতালি।