ঢাকা: করোনা সংক্রমন ঠেকাতে সকল বাহিনীকে মাঠে নামিয়ে চলছে কঠোর লকডাউন। ৭দিনের লকডাউনের আজ দ্বিতীয় দিন চলছে।
সর্বাত্মক লকডাউনের প্রথম দিন গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানী ছিল ফাঁকা। কঠোর লকডাউন শুরু হওয়ার আগের দিন বুধবারও যেখানে রাজধানীতে ব্যক্তিগত গাড়ি ও রিকশার দাপটে যানজটে নাকাল হয়েছে নগরবাসী; সেখানে গতকাল একেবারেই উল্টো চিত্র দেখা গেছে। সড়কে ব্যক্তিগত গাড়ির উপস্থিতি ছিল একেবারেই হাতেগোনা। তবে এদিন রিকশা চলাচল করতে দেখা গেছে। যারা একান্ত জরুরি প্রয়োজনে বের হয়েছিলেন, তারা ব্যক্তিগত গাড়ি ও রিকশা ব্যবহার করেছেন। অবশ্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের জিজ্ঞাসার মুখে পড়তে হয়েছে তাদের। এ ছাড়াও জরিমানা, সাড়ে ৫০০ জনের বেশি আটক-গ্রেপ্তার মিলিয়ে বলতে গেলে গতকাল প্রথমদিন কঠোর লকডাউনই দেখেছে দেশ। রাজধানীর বাইরে দেশের বিভিন্ন এলাকাতেও ছিল কড়াকড়ি। মানুষও অহেতুক বের হয়েছেন কমই। এক সপ্তাহ ধরে সরকারের পক্ষ থেকে যে হুশিয়ারি দেওয়া হয়েছিল, তাতে কাজ হয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, প্রথম দিনের লকডাউন পুরোপুরি সফল হয়েছে। আমাদের সময়ের প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, জেলা ও উপজেলা পর্যায়েও লকডাউন কঠোরভাবেই প্রতিপালন হয়েছে। কোনো ধরনের গণপরিবহন বা অপ্রয়োজনে অন্য কোনো যানবাহন চলতে তারা দেখেননি। জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা লকডাউন বাস্তবায়নে মাঠে ছিলেন সারাদিন।
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোর মোড়ে মোড়ে চেকপোস্ট এবং কাঁটাতারের ব্যারিকেড বসিয়েছে পুলিশ। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কাউকে রাস্তায় থাকতে দেওয়া হয়নি। রাজধানীর অভিজাত এলাকাগুলোর পাশাপাশি জনবহুল এলাকাগুলোতে সেনাবাহিনীর টহল দেখা গেছে। মগবাজার, মৌচাক, শান্তিনগর, কাকরাইল, নয়াপল্টন, ফকিরাপুল, বিজয়নগর, মিরপুর, আজিমপুর, বাড্ডা, রামপুরা, শাহবাগ, ধানমন্ডি, হাতিরপুল, উত্তরা, বসুন্ধরা গেটে পুলিশ চেকপোস্ট দেখা গেছে।
লকডাউন শতভাগ কার্যকর করতে বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা দিতে সারাদেশে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। এ ছাড়া ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় ১০৬ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে মাঠে নামিয়েছে সরকার। লকডাউনে বিনাকারণে ঘর থেকে বের হলেই গ্রেপ্তার ও মামলার কথা আগেই জানিয়েছিলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার।