ঢাকাঃ মাত্র এক বছরের ব্যবধানে দেশের মানুষের গড় আয়ু বেড়েছে ৭২ দিন। এতে করে গড় আয়ু বেড়ে দাঁড়ালো ৭২.৮ বছরে। গত বছর ছিল ৭২.৬ বছর।
গতকাল সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) মিলনায়তনে ‘বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিস্টিক ২০২০’ শীর্ষক প্রকাশনায় এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, নারীদের গড় আয়ু পুরুষের থেকে বেশি। নারীদের প্রত্যাশিত গড় আয়ু ৭৪.৫ বছর। অন্যদিকে পুরুষের গড় আয়ু ৭১.২। বছরের ব্যবধানে দেশের মানুষের গড় আয়ু ৭২ দিন বেড়েছে। ফলে গড় আয়ু এখন ৭২.৮ বছর।
প্রতিবেদনে দেখা যায়, দেশের বর্তমান জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৯১ লাখ ১ হাজার (১ জানুয়ারি, ২০২১)। এর আগে ২০২০ সালে দেশে মোট জনসংখ্যা ছিল ১৬ কোটি ৮২ লাখ ২ হাজার জন। জনসংখ্যা বাড়ার হার ১.৩০ শতাংশ। মোট প্রজনন হার ২.৪ শতাংশ। প্রতি হাজারে মাতৃ মৃত্যুর হার ১.৬৩।
অন্যদিকে, ১৫ বছরের ঊর্ধ্বে জনসংখ্যার শিক্ষার হার ৭৫.৬ শতাংশ। ৭ বছর ও তদূর্ধ্ব জনসংখ্যার শিক্ষার হার ৭৫.২ শতাংশ। ৭ বছর ও তদূর্ধ্ব নারী শিক্ষার হার ৭২.৯ শতাংশ।
প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়, স্যানিটারি টয়লেটের সুবিধা আছে ৮১.৫ শতাংশ পরিবারের। ১৫ বছর ও তদূর্ধ্ব জনসংখ্যার ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর হার ৪৩.৫ শতাংশ। এর মধ্যে পুরুষ ৫২.৭ শতাংশ এবং নারী ৩৪.৩ শতাংশ। এ ছাড়া বিদ্যুৎ সুবিধা পাচ্ছে ৯৬.২ শতাংশ পরিবার।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম। পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব মোহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, মানুষের গড় আয়ু বেড়েছে এটা দারুণ খবর। আমাদের সার্বিক উন্নতি হচ্ছে। রিপোর্টটি খুব কম সময়ে প্রকাশিত হওয়ায় আমি আনন্দিত। তিনি বলেন, জনবহুল দেশ হওয়ার পরও জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে দেশের উল্লেখযোগ্য সাফল্য রয়েছে। একজন মা এখন গড়ে দুটি সন্তানের জন্ম দেন। এখন থেকে ৫০ বছর পেছনে তাকালে দেখা যাবে, তখন একজন মা গড়ে ছয়টি সন্তানের জন্ম দিতেন। আমাদের দেশের মানুষ এখন শিক্ষিত হয়েছে, সচেতনতা বেড়েছে।