কোপা আমেরিকায় অপ্রতিরোধ্য ফর্মে এখন লিওনেল মেসি। স্থানীয় সময় সোমবার রাতে (বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার) বলিভিয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচে এখন পর্যন্ত ৪-১ গোলে এগিয়ে রয়েছে আর্জেন্টিনা।
মেসি এর মধ্যেই আর্জেন্টিনার জাতীয় দলের হয়ে সর্বাধিক গোল করার রেকর্ড ভেঙেছেন। আজকের ম্যাচে এর মধ্যেই তিনি দুটি গোল নিজে করেছেন। আরেকটিতে সহযোগিতা করেছেন।
রোমাঞ্চকর জয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে স্পেন
সব মিলিয়ে দুর্দান্ত এক ফুটবল ম্যাচই দেখা গেল ইউরো ফুটবলে। আত্মঘাতি গোলে ক্রোয়েশিয়ার লিড। তেতে ওঠা স্পেন এরপর পেল দুই অর্ধ মিলিয়ে তিন গোল। জিততে চলেছে স্প্যানিশরা, এমন আবহ যখন তুঙ্গে তখন ক্রোয়েশিয়া দেখালো চমক। নির্ধারিত দম বন্ধ করা উত্তেজনায় দুটি গোল পেল ক্রোয়াটরা। ম্যাচ গড়াল অতিরিক্ত ৩০ মিনিটে। যেখানে শেষ হাসি স্পেনের।
পারকেনেতে সোমবার রাতে উত্তেজনায় ঠাসা এমন রোমাঞ্চকর ম্যাচে ক্রোয়েশিয়াকে ৫-৩ গোলে হারিয়ে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশীপের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে স্পেন। ২০০৮ ও ২০১২ আসরের চ্যাম্পিয়ন স্পেন গত আসরে বিদায় নিয়েছিল শেষ ষোলো থেকে। এবার সেই বাধা অতিক্রম করতে পারলো লুইস এনরিকের দল। অন্যদিকে দারুণ খেলেও ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে উঠার আক্ষেপ বাড়ল ক্রোয়েশিয়ার। এই টুর্নামেন্টে দলটি শেষবার শেষ আটে খেলেছে ২০০৮ সালে।
ম্যাচের ২০ মিনিটেই লিড নেয় ক্রোয়েশিয়া। আর সেটা স্পেন গোলরক্ষকের হাস্যকর এক ভুলে। প্রায় মাঝ মাঠ থেকে সতীর্থের লং ব্যাক পাস ধরতে পারলেন না সিমন। এগিয়ে যায় ক্রোয়াটরা। ম্যাচে ফিরতে দেরি করেনি স্পেনও। ৩৮ মিনিটে পাবলো সারাবিয়ার গোলে ম্যাচে সমতা আসে ১-১ ব্যবধানে।
দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণের ধার যেন আরো বাড়ে স্পেনের। ৫৭ মিনিটে সিজার অ্যাজপিলিসুয়েটার গোলের লিড নেয় এনরিক শিবির। ৭৬ মিনিটে ম্যাচের ভাগ্য প্রায় নিজেদের করে নেয় স্পেন। দলের স্কোর লাইন ৩-১ করেন ফেরান তোরেস।
হার যেন দেখছে তখন ক্রোয়েশিয়া। তবে দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া অবস্থায় রোমাঞ্চ ছড়িয়ে ম্যাচে ফেরে মডরিচরা। ৮৫ মিনিটে মিসলাভ ওরসিকের গোলে ব্যবধান কমে আসে ৩-২ এ। অতিরিক্ত সময়ে বড় চমক দেখান মারিও পাসালিক। তার রুদ্ধশ্বাস গোলে স্কোর তখন ৩-৩।
ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত ত্রিশ মিনিটে। যেখানে অবশ্য স্পেন বেশি আধিপত্য দেখিয়েছে। ১০০ মিনিটে আলভারো মোরাতার গোল। এগিয়ে যায় স্পেন। এর মিনিট তিনেক পর স্পেনের হয়ে পঞ্চম গোলটি করেন মিকেল ওয়ারজাবাল। শেষের দিকে বেশ কয়েকটি আক্রমণ করেছিল ক্রোয়েশিয়া। নির্ধারিত ৯০ মিনিটের মতো এই অর্ধে সেই চমকটা দিতে পারেনি দলটি। দারুণ জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে স্পেন (৫-৩)।
বল দখলে স্পেনের আধিপত্য ছিল বেশি, শতকরা ৬৮ ভাগ। ২৩টি শটের মধ্যে লক্ষ্যে ছিল স্পেনের ১০টি। সেখানে ১২টির মধ্যে সাতটি শট লক্ষ্যে ছিল ক্রোয়েশিয়ার। স্পেন আটটি কর্ণার আদায় করতে পারলেও ক্রোয়েশিয়া আদায় করতে পারে মাত্র একটি কর্নার।
আগামী ২ জুলাই কোয়ার্টার ফাইনালে স্পেন মোকাবেলা করবে সুইজারল্যান্ডের।