১. বাংলাদেশের পরিস্থিতি সামলাতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার প্রয়োজনে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেবে বলে প্রতিবেশী ভারতকে তারা আশ্বস্ত করেছে।
২. ভারত একটা ব্যাপারে খুব সতর্ক। তারা প্রকাশ্যে অন্তত কোন পক্ষের সমর্থন বা বিরোধিতা করতে চাইছে না। তারা চাইছেন বাংলাদেশের সঙ্কটটা দ্রুত মিটুক। কিন্তু সে সমাধানে যেন ভারতের কোন ছায়া না দেখা যায়।
৩. বাংলাদেশের প্রধান দলগুলো হাত মিলিয়ে একটা জাতীয় ঐক্যের সরকার গড়লে এবং সেই সরকার ভারতের স্বার্থের দিকেও খেয়াল রাখলে তাতে সাউথ ব্লকের অসুবিধা নেই।
এ বৈঠক সম্পর্কে গতরাতে বিবিসি বাংলার খবরে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে ভারতের হাইকমিশনার পঙ্কজ শরণ গতকাল দিল্লিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজকে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে ব্রিফ করেছেন বলে বিবিসি জানতে পেরেছে। ভারত এ বৈঠক নিয়ে সরকারিভাবে একেবারেই মুখ খোলেনি। বরং তারা এ বৈঠকের গুরুত্ব একটু খাটো করে দেখাচ্ছে। বলছে, এটা একটা নিয়মিত রুটিন বার্ষিক বৈঠক। কিন্তু তারপরও বাংলাদেশে এ মুহূর্তে রাজনীতি বা নিরাপত্তা পরিস্থিতি যে পর্যায়ে তাতে এ বৈঠকটাকে রুটিন বৈঠক ঠিক বলা যাচ্ছে না সঙ্গত কারণেই। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্ভরযোগ্য সূত্রে বিবিসি যেটা জানতে পেরেছে তা হলো- মি. শরণ তার মন্ত্রীকে এটাই জানিয়েছেন, বাংলাদেশ সরকার এখনও মনে করছে যে, পরিস্থিতি তাদের নিয়ন্ত্রণে আছে। দরকারে তারা আরও কঠোর ব্যবস্থা নিতেও প্রস্তুত। কিন্তু ইমার্জেন্সি বা সামরিক বাহিনী নামার মতো অবস্থা এখনও হয়নি।